বিজেপিতে ঝটকা, পুরুলিয়ার জয়পুর পঞ্চায়েত দখল করল তৃণমূল
বিজেপির (BJP) প্রধান-উপপ্রধান- সহ পুরুলিয়ার (Purulia) একটি গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট দশ সদস্য সদলবলে ৭০০ পরিবার নিয়ে যোগ দিল তৃণমূল কংগ্রেসে। তাঁদের হাতে দলের পতাকা তুলে দেন জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর তথা পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়। ফলে ওই পঞ্চায়েত এখন শাসকদলের দখলে।
জেলা পরিষদের সভাধিপতি ছাড়াও এদিনের এই যোগদান অনুষ্ঠানে ছিলেন আরও দুই কো-অর্ডিনেটর সুসেন চন্দ্র মাঝি, মীরা বাউরি, স্থানীয় বিধায়ক শক্তিপদ মাহাতো ও জয়পুর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি শংকরনারায়ণ সিংদেও। এদিন সভাধিপতি বলেন, “শুধু সাধারণ মানুষজন নয়। গেরুয়া শিবিরে থাকা নেতা-কর্মীরাও বুঝে গিয়েছেন বিজেপি দলটা কেমন। তাই জয়পুরের বিজেপির প্রধান-উপপ্রধান-সহ তাঁদের সদস্যরা সদলবলে তৃণমূলে এলেন। জয়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতও আমরা দখল করলাম।” তৃণমূলে যোগ দেওয়া দশ গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যের মধ্যে বিজেপির ছয় ও নির্দলের চার সদস্য রয়েছেন।
জয়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট আসন ১৬টি। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি পায় ন’টা আসন। তৃণমূল দুটি, নির্দল চারটি ও কংগ্রেস একটি। প্রধান হন অপর্ণা বাদ্যকর, উপপ্রধান হন মনোহর রাজোয়ার। এই যোগদানের ফলে তৃণমূলের আসন সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল বারো। সেই জায়গায় বিজেপি কমে হল মাত্র তিন। নির্দলের আর কোন সদস্য থাকল না। এপ্রসঙ্গে বিজেপির জেলা সভাপতি বিদ্যাসাগর চক্রবর্তী বলেন, “প্রধানের বিরুদ্ধে বেনিয়মের অভিযোগ ওঠায় আমরা তাঁকে আগেই সাসপেন্ড করি। এছাড়া যোগ দেওয়া বাকি সদস্যরা দীর্ঘদিন ধরেই তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিল। ফলে এই যোগদানে আমাদের কোনও সমস্যা হবে না। ওই এলাকার আরও বেশি সাধারণ মানুষকে আমরা দলে নিয়ে আসব।” উল্লেখ্য, বেশ কিছুদিন ধরেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিজেপির নেতা-কর্মীরা যোগ দিচ্ছেন শাসকদলে। বিধানসভা নির্বাচনের আগে যা অক্সিজেন জোগাচ্ছে ঘাসফুল শিবিরকে। তবে এই দলত্যাগ কপালে ভাঁজ ফেলছে পদ্ম শিবিরের।