ডিসেম্বর থেকে শুরু কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাবর্ষ: পার্থ
নভেম্বর নয়। ডিসেম্বর থেকে শুরু হতে চলেছে কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠনপাঠন। রবিবার শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির উপাচার্যদের ভার্চুয়াল বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। ইউজিসির নির্দেশ আংশিকভাবে মেনে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর স্তরের পড়াশোনা ডিসেম্বর থেকে শুরু করা হবে। বৈঠক শেষে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষাবর্ষ শুরু হয়ে গেলেও ভালোভাবে স্যানিটাইজ না করে ক্যাম্পাসে ছাত্রছাত্রীদের ডেকে ক্লাস করানো যাবে না। শিক্ষাদপ্তর থেকে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সার্বিক প্রস্তাব পাঠানো হবে। এ বিষয়ে রাজ্য সরকার যথাসময়ে নির্দেশ দেবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
আগামী ২ নভেম্বর থেকেই ক্লাস শুরুর চিন্তাভাবনা চলছিল। বৈঠকেও আগাগোড়া এই বিষয়টি উঠে আসে। কিন্তু উপস্থিত এক উপাচার্য পুজোর ছুটির বিষয়টি মনে করিয়ে দেন বলে সূত্রের খবর। তারপরেই শিক্ষাবর্ষ ডিসেম্বর থেকে শুরুর ভাবনাচিন্তা করা হয়। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, দুর্গাপুজো জাতীয় উৎসবে পরিণত হয়েছে। এছাড়া কালীপুজো, ছটপুজো, মুসলিমদের পরবও রয়েছে। তাই নভেম্বর থেকে শিক্ষাবর্ষ শুরু করা সম্ভব নয়। ইতিমধ্যে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়েছিল, তাদের ক্লাস শুরু করতে কিছু দেরি হতে পারে। ওই সময় স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর পরীক্ষার ফলপ্রকাশের কাজ চলবে। অক্টোবরের শেষ পর্যন্ত চলবে স্নাতকস্তরে ভর্তির প্রক্রিয়া। তাই ক্লাস শুরু করতে নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহ হয়ে যাবে।
এই পরিস্থিতিতে স্নাতকোত্তরে ভর্তির ক্ষেত্রে বর্তমানের ৬০:৪০ অনুপাতের নিয়ম পরিবর্তন করে ৮০:২০ করা হচ্ছে। অর্থাৎ, বিশ্ববিদ্যালয়গুলি স্নাতকোত্তরের মোট আসনের ৮০ শতাংশে নিজেদের কলেজগুলি থেকে আসা স্নাতকস্তরের পড়ুয়াদের সুযোগ দেবে। বাকি ২০ শতাংশ আসন বরাদ্দ থাকবে অন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্র্যাজুয়েশন শেষ করে আসা ছাত্রছাত্রীদের জন্য। যার অর্থ, রাজ্য সরকার চাইছে, এই মুহূর্তে বাড়ির কাছাকাছি কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়েই ছাত্রছাত্রীরা ভর্তি হোন। কোভিড পরিস্থিতিতে ছাত্রছাত্রীরা ভিনরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতেও খুব একটা যেতে পারবেন না। এর ফলে, রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে কিছুটা হলেও চাপ বাড়বে। সেসব মিলিয়ে এই সিদ্ধান্ত বলে জানা গিয়েছে।