শেষ রক্ষা হল না উত্তর প্রদেশ গণ ধর্ষিতার
উত্তরপ্রদেশে দিনেদুপুরে এক যুবতীকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে চার দুষ্কৃতী। শুধু তাই নয়, কেটে নেওয়া হয় তাঁর জিভও। আজ হাসপাতালে মৃত্যু হয় সেই যুবতীর । ধর্ষকদের অত্যাচারে গোটা শরীর ক্ষতবিক্ষত হয়েছিল । বহু হাড় ভেঙে গিয়েছিল । এ হেন নৃশংসতার পরও পুলিশ ৪-৫ দিন চুপ ছিল। পরে স্থানীয়দের বিক্ষোভের জেরে ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হয় । চারজন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ঘটনাটি ঘটে ১৪ সেপ্টেম্বর দিল্লি থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরে হাথরাস জেলায় । সেদিন মা এবং ভাইয়ের সঙ্গে মাঠে ফসল কাটতে গিয়েছিলেন বছর কুড়ির ওই দলিত যুবতী। কিছুক্ষণ বাদে ফসলের বোঝা মাথায় নিয়ে বাড়ি ফিরে যান নির্যাতিতার ভাই। তখনও মা-মেয়ে বাজরার খেতেয় ছিলেন। দুজন দু’প্রান্তে ফসল কাটছিলেন। হঠাত করে চার-পাঁচ জন দুষ্কৃতী আসে। তরুণীর গলায় তাঁরই ওড়না পেঁচিয়ে দেয়। তারপর টেনে হিঁচড়ে তাঁকে সেখান থেকে নিয়ে চলে যায়। কিছুক্ষণ পর মেয়েকে দেখতে না পেয়ে সন্ধান করা শুরু করেন মা। কিছুটা দূরে মেয়েটিকে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায়। সেখানকার এক সরকারি হাসপাতালে তাঁকে ভরতি করা হয়। তারপর সেখান থেকে স্থানান্তরিত করা হয় দিল্লীর এক হাসপাতালে। আজ সকালে সেখানেই মৃত্যু হয় সেই যুবতীর।
এতদিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন ওই নির্যাতিতা। কিন্তু হল না শেষ রক্ষা। নির্যাতিতার পরিবারের দাবি, তাঁকে ধর্ষণ করার পর বেধড়ক মারধর করা হয়। অথচ, পুলিশে খবর দিলে প্রথম চার-পাঁচ দিন তারা কোনও পদক্ষেপই নেয়নি । পরে বিক্ষোভের জেরে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে। পালটা উত্তরপ্রদেশ পুলিশের দাবি, ঘটনার পরই একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার কাছ থেকে বাকিদের নাম জানার পরই তাদেরও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, যে উত্তরপ্রদেশে রামরাজ্য প্রতিষ্ঠার দাবি করেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, সেরাজ্যে নারী নিরাপত্তার এই হাল কেন? এই মুহূর্তে নারী এবং অপরাধমূলক কার্যকলাপে দেশের মধ্যে একেবারে উপরের সারিতে আছে যোগীর রাজ্য।