দুর্গা পুজোর গাইড লাইন, মানতেই হবে এই নিয়মগুলো
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন পুজোয় কোনও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান নয়। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর সেই বার্তায় আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন শিল্পীদের একাংশ। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যাতে ছাড় দেওয়া হয় এবং তাঁদের রুটি-রুজির প্রসঙ্গ তুলে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আর্জি জানান তাঁরা। এর পর মুখ্যমন্ত্রী টুইট করে জানিয়েছিলেন, কোভিড বিধি মেনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা যাবে। কিন্তু সোমবার নবান্নের তরফে যে পুজো নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয়েছে সেখানে জানানো পুজোয় কোনও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা যাবে না। পাশাপাশি করা যাবে না কানির্ভালও।
নবান্ন প্রকাশিত ওই পুজো নির্দেশিকায় আর কী কী থাকছে—
১) দমকল, পুরসভা বা পঞ্চায়েত কোনও ফি নেবে না। সিইএসসি এবং রাজ্য বিদ্যুৎ নিগম ৫০ শতাংশ ছাড় দেবে বিদ্যুৎ বিলের উপরে। অনলাইনে মিলবে পুজোর অনুমতি।
২) প্যান্ডেল খোলামেলা করতে হবে। শারীরিক দূরত্ব যাতে বজায় থাকে, সে দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। প্যান্ডেলে ঢোকা ও বেরোনোর রাস্তা আলাদা করে করতে হবে।
৩)প্যান্ডেলে স্যানিটাইজার এবং মাস্ক রাখতে হবে। বেশি সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ। স্বেচ্ছাসেবকদের ফেস শিল্ড ব্যবহার করতে হবে। দর্শকদের মাস্ক পড়তেই হবে। যাঁরা মাস্ক আনতে ভুলে যাবে, তাঁদের মাস্ক দিতে হবে।
৪) অঞ্জলি, প্রসাদ বিতরণের জন্য খোলামেলা জায়গা করতে হবে। ছোট জায়গায় এ সব করা যাবে না। সব ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বন্ধ থাকছে এ বছর।
৫) পুরস্কার-কমিটি এক সঙ্গে অনেক গাড়ির কনভয় নিয়ে প্যান্ডেলে আসতে পারবেন না। সর্বচ্চো দু’টি গাড়ি নিয়ে আসতে পারবেন। সকাল ১০ থেকে ৩ টের মধ্যে বিষযটি সম্পন্ন করতে হবে।
৭) উদ্বোধন এবং বিসর্জনে বেশি ভিড় করা যাবে না। সম্ভব হলে উদ্বোধন ভার্চুয়াল মাধ্যমে করা যেতে পারে। বিসর্জনের আগে ঘাটগুলিকে স্যানিটাইজ করতে হবে। বিভিন্ন দিনে এলাকা-ভিত্তিক বিসর্জন
৮) মুখ্যমন্ত্রী আগেই জানিয়েছিলেন, এ বছর তৃতীয়া থেকে একাদশী পর্যন্ত রাতে প্রতিমা দর্শন করা যাবে। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, এই বিশেষ পরিস্থিতির জন্য রেড রোডে পুজো কার্নিভাল বন্ধ থাকবে।
গত বৃহস্পতিবার নেতাজি ইনডোর স্টেডিয়াম মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুজো কমিটিগুলির সঙ্গে বৈঠক করেন। উপস্থিত ছিলেন পুলিশ-প্রশাসনের কর্তারাও। সেখানে তিনি পুজো কমিটিগুলি এবং পুলিশকে সমন্বয় রেখে পুজোর দিনগুলিতে কাজ করার পরামর্শ দেন।