অর্ধেকের বেশি ভোটদাতা পরিবর্তন চাইছেন বিহারে – প্রকাশ সমীক্ষায়
বিহার ভোটের দিন ঘোষণা হতেই শুরু হয়েছে জনমত সমীক্ষা। তাতে আশঙ্কার মেঘ জমছে এনডিএ শিবিরে। অর্ধেকের বেশি ভোটদাতা নাকি পালাবদল চাইছেন বিহারে।
আইএএনএস-সি ভোটারের এই সমীক্ষা বলছে, ৫৬.৭ শতাংশ ভোটার রাজ্য সরকারের কাজে অসন্তুষ্ট, তাঁরা চান সরকার বদলাক। এছাড়াও ২৯.৮ শতাংশ মতদাতা ‘ক্রুদ্ধ’, তবু নীতীশ-বিজেপি জোটের পক্ষেই ভোট দেবেন। মাত্র ১৩.৫ শতাংশ মতদাতা রাজ্য সরকারের প্রতি অভিযোগ নেই, তাঁরা প্রসন্ন মনেই ভোট দেবেন। ২৫,৭৮৯ জন সমীক্ষায় অংশ নিয়েছেন।
একদিকে এনডিএ আর মহাজোটের লড়াইয়ের মধ্যেই মাথা তুলতে চাইছে এক ঝাঁক ছোট দল। যেমন বিকাশশীল ইনসান পার্টি (ভিআইপি), জনতা দল (রাষ্ট্রবাদী), জনতান্ত্রিক বিকাশ পার্টি (জেভিপি), জন অধিকারী পার্টি (জেএপি)-র মতো আঞ্চলিক দলগুলি। বড় দুই প্রতিপক্ষকে স্থানে স্থানে বিপদেও ফেলতে পারে ছোট দলগুলি। বিরোধী ভোট অনেক জায়গায় ভাগ হয়ে যেতে পারে এই ছোট দলগুলির জন্য। মহাজোটের কাছে এটা চিন্তার কথা।
জন অধিকারী পার্টি (জেএপি) প্রধান পাপ্পু যাদব। প্রাক্তন সাংসদ। এবার ২৪৩ আসনের বিধানসভা ভোটে ১৫০টি আসনে প্রার্থী দেবেন তিনি। এক সময় লালুপ্রসাদের কাছের মানুষ ছিলেন পাপ্পু। বনিবনা না হওয়ায় লালুপ্রসাদের দল ছেড়ে জেএপি গঠন করেছেন। রাজ্যের কিছু অঞ্চলেই তাঁর দাপট রয়েছে। গুঞ্জন ছড়িয়েছে, গত পাঁচ বছর ধরে কঠোর পরিশ্রমের ফল এবার পেতে পারেন পাপ্পু যাদব। তাঁর কথায়, বিহারে শাসক ও বিরোধীদের ওপর কারও আস্থা নেই। বিকল্প রাজনৈতিক দল দরকার। তিনিই সেই বিকল্প দল উপহার দেবেন। ওদিকে ১৫০টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ঘোষণা করেছেন জেভিপি প্রধান অনিল কুমার। বক্সার, ভোজপুর ও রোহতাস জেলায় জেভিপি-র প্রভাব রয়েছে। তাঁর কথায়, ‘বিহারে উন্নয়নের ঢাক পেটানো হয়। উন্নয়নের সেই চেহারা করোনা অতিমারীতে বেরিয়ে পড়েছে।’