কংগ্রেস শাসিত রাজ্যে পৃথক কৃষি আইন, কেন্দ্রকে উপেক্ষার ডাক সোনিয়ার
সংসদের দুই কক্ষেই পাস হয়েছে কৃষি বিল। রাষ্ট্রপতি সেই বিলে সম্মতিও দিয়ে দিয়েছেন। এখন আইনে পরিণত হয়েছে ওই ৩ কৃষি বিল। এরপরও কেন্দ্রের নতুন ওই কৃষি আইন উপেক্ষা করার ডাক দিলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী।
কেন্দ্রের নতুন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। পঞ্জাব আগে থেকেই উত্তপ্ত ছিল। সেখানে আন্দোলনে নেমেছে কৃষকদের একশো সংগঠন। এবার বিক্ষোভ শুরু হল কর্ণাটকেও। সোমবার কৃষকদের বিক্ষোভে সামিল হন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরেন্দ্র সিং।
এদিকে, সোমবার কংগ্রেসের তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘সোনিয়া গান্ধী দেশের কংগ্রেস শাসিত রাজ্যগুলিকে সংবিধানের ২৫৪(২) ধারা অনুযায়ী নতুন কৃষি আইন আনার চিন্তাভাবনা করতে বলেছেন যাতে কেন্দ্রের কৃষি আইন এড়িয়ে চলা যায়। রাজ্য যদি আইন তৈরি করে তাহলে কেন্দ্রীয় ৩ কৃষি আইনকে এড়িয়ে চলা যাবে। এতে মোদী সরকার দেশের কৃষকদের প্রতি যে অবিচার করেছে তা থেকে মুক্তি মিলবে।’
প্রসঙ্গত, কৃষি আইন নিয়ে রাজ্যসভায় লড়াই এখন ময়দানে। কেন্দ্রের এই আইনের বিরুদ্ধে দেশের ১৮ বিরোধী দল। এখন, এরকম আইন কি তৈরি করা সম্ভব? বিশেষজ্ঞদের মতে, যে ধারার কথা কংগ্রেস সভানেত্রী উল্লেখ করেছেন তাতে এরকম ব্যবস্থা রয়েছে। তবে সেক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতির সম্মতির প্রয়োজন।
উল্লেখ্য, কৃষি বিলের বিরুদ্ধে রাজ্যসভায় বিক্ষোভ দেখিয়ে সাসপেন্ড হয়েছেন ৮ বিরোধী সাংসদ। এরপর ওই সাসপেনশন তোলার দাবিতে রাজ্যসভার অধিবেশনে যোগ দেওয়া বন্ধ করে দেয় বিরোধীরা। তাদের বক্তব্য ছিল, বিলটি নিয়ে অনেক বেশি আলোচনার প্রয়োজন। বিলটি পাস হলে ব্যবসায়ীরা মুনাফা করবে। বিলটি আইনে পরিণত হওয়ার পর এর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার কথা ঘোষণা করেছে কেরল, তৃণমূল কংগ্রেস এর বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমেছে, এনডিএ ছেড়েছে অকালি দল।