আম্পান ঝড়ে ভাঙা গাছ সরাতে প্রায় সাড়ে ৫ কোটি খরচ পুরসভার
চার মাস পেরিয়ে গিয়েছে। ঘূর্ণিঝড় আম্পানের ধাক্কায় লণ্ডভণ্ড হয়েছিল শহর। তছনছ হয়েছিল তিলোত্তমা। ভেঙে পড়েছিল হাজার হাজার গাছ। শহরের শ্রী ফেরাতে ইতিমধ্যেই কয়েক কোটি টাকা খরচ হয়ে গিয়েছে পুরসভার। সরানো হয়েছে ভেঙে পড়া গাছ।
পুরসভা সূত্রে খবর, দুটি বিভাগের মাধ্যমে ভেঙেপড়া গাছ সাফাইয়ের কাজ চলছিল। জঞ্জাল সাফাই এবং উদ্যান বিভাগ। ইতিমধ্যেই জঞ্জাল সাফাই বিভাগ থেকে এই খাতে খরচ হয়েছে প্রায় ৩.৩৪ কোটি টাকা। অন্যদিকে, উদ্যান বিভাগও দেড় থেকে দু’ কোটি টাকা খরচ করেছে ভেঙে পড়া গাছ সরানোর কাজে। এখনও সব জায়গা থেকে সরানো হয়নি। অনেক জায়গাতেই গাছের গুঁড়ি, ডালপালা স্তূপাকৃতি হয়ে পড়ে রয়েছে। উদ্যান বিভাগ সেই কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। সব মিলিয়ে প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি
টাকার কাছাকাছি খরচ হয়ে গিয়েছে পুরসভার। এই টাকা রাজ্য সরকারের দেওয়ার কথা থাকলেও পুরসভা তা একনও হাতে পায়নি।
ঘূর্ণিঝড় আম্পানের ধাক্কায় কলকাতায় ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ১৫ হাজারেরও বেশি গাছ ভেঙে পড়েছিল। তার মধ্যে বেশ কিছু মূল্যবান মেহগনি গাছ ছিল। সেই গাছ নিলামে তুলে টাকা জোগাড়ের চেষ্টা চালাচ্ছে পুর-কর্তৃপক্ষ। প্রথম দিকে কয়েক সপ্তাহ দিনভর কাজ হয়েছিল। ডাম্পার, জেসিবি, পে লোডার দিয়ে সরানো হয়েছে গাছগুলি। ফলে পুর-কর্মীদের পাশাপাশি অতিরিক্ত ঠিকা কর্মীও নিয়োগ করতে হয়েছিল। সেকারণেই দ্রুত সাফ করা গিয়েছে রাস্তাঘাট। একাধিক শিফটে কাজ হয়েছে সেই সময়ে। ফলে ঠিকাদারদের এই খাতে বেশ কিছু টাকা মেটাতে হয়েছে পুরসভাকে। বর্তমানে উদ্যান বিভাগের আওতায় ছ’টি ডাম্পার, দুটি জেসিবি, একটি হাইড্রা এবং একটি পে লোডার রয়েছে। তা দিয়েই এখন কাজ চলছে। ফলে খরচের তালিকা আরও দীর্ঘ হবে বলেই মনে করছেন আধিকারিকরা। এক পুরকর্তা বলেন, এখনও শহরের কয়েকটি জায়গায় ভাঙা গাছের অংশবিশেষ পড়ে রয়েছে। সেসব সরানোর কাজ চলছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই খরচের পরিমাণ আরও বাড়বে। ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিপূরণ বাবদ এই টাকা রাজ্য সরকারের থেকে পুরসভাকে দেবে বলেই আমাদের কাছে খবর।