২১শে বিজেপির প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে পুজোর আগেই রাজ্যে আসছেন অমিত শাহ
আর কয়েকটা মাস পেরলেই এ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। উনিশের লোকসভায় বঙ্গে ভাল ফলাফল ধরে রাখা একুশের বিধানসভা বঙ্গ বিজেপির কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। আর তা নিয়ে বেশ মাথা ঘামাচ্ছেন বিজেপির শীর্ষ নেতারা। পুজোর আগেই সংগঠনের হালচাল, দলের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখকে বাংলায় আসছেন বিজেপির প্রাক্তন সর্বভারতীয় সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। বৃহস্পতিবার দিল্লিতে বিজেপি সভাপতি জে পি নাড্ডার বাড়িতে বৈঠক থেকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পুজোর পর রাজ্যে আসবেন নাড্ডা।
বিধানসভার (Assembly Election 2021) প্রস্তুতির জন্য এখন বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বের দিল্লি যাতায়াত চলছেই। গত মাসেও এ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের পর ফের অক্টোবরের প্রথম দিনই দলের সর্বভারতীয় সভাপতির বাড়িতে বৈঠকে বসেন দিলীপ ঘোষ, রাহুল সিনহা-সহ রাজ্যের কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক অরবিন্দ মেনন, কৈলাস বিজয়বর্গীয়রা। একুশের ভোটে গেরুয়া শিবিরে স্ট্র্যাটেজি ঠিক করাই ছিল আলোচনার মূল বিষয়। নয়া কৃষি আইনকে সামনে রেখে প্রচার তো চলবেই, এছাড়া স্থানীয় বিভিন্ন ইস্যুতে জোর দিয়ে দিলীপ ঘোষ, রাহুল সিনহাদের ভোট প্রচারের নির্দেশ দিয়েছেন নাড্ডা। এলাকাভিত্তিক সেই স্থানীয় ইস্যুকে হাতিয়ার করার পরামর্শ কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের। সেখান থেকেই ঠিক হয়েছে, নির্বাচনী প্রস্তুতি দেখতে পুজোর আগেই রাজ্যে আসবেন অমিত শাহ। পুজোর পরে আসবেন জে পি নাড্ডা।
এদিকে, সম্প্রতি সংগঠনে রদবদল হওয়ার পর সর্বস্তরে জাতীয় কমিটি থেকে বাদ পড়েছেন দলের প্রাক্তন কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা। তা নিয়ে বেশ অভিমান হয়েছিল তাঁর। মুখ খুলে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন তিনি। দিল্লির বৈঠকে ডাক পেলেও যাবেন কি না, সংশয় ছিল তা নিয়েও। তবে বুধবারই তিনি দিল্লি উড়ে যাওয়ায় সেই আশঙ্কার অবসান ঘটেছে। সূত্রের খবর, আজকের বৈঠকে তাঁর হয়ে সওয়াল করেছেন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ নিজে। ভোটে রাহুলের মতো নেতার কতটা প্রয়োজন, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে তা বিস্তারিত জানিয়েছেন দিলীপ ঘোষ। তাতেই নাকি রাহুল সিনহার মানভঞ্জন হয়েছে বলে ঘনিষ্ঠ সূত্রে জানা গিয়েছে। আসলে একুশের লড়াইয়ের আগে যে বঙ্গ বিজেপি শিবিরে একতা কতটা দরকার, তা বেশ টের পেয়েছেন সকলে।