সরকারি আধিকারিককে মারধরের অভিযোগ বিজেপি কর্মীর বিরুদ্ধে
কখনও দুর্নীতি, কখনও তোলাবাজির অভিযোগ। আর এবার একেবারে এক সরকারি আধিকারিককে মারধরের ঘটনায় কাঠগড়ায় বীরভূমের এক বিজেপি কর্মী। স্থানীয় বিজেপি কর্মী সন্তোষ ভৌমিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বৃহস্পতিবার কঙ্কালীতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের এক নির্বাহী সহায়ককে মারধর, অফিসের কম্পিউটার ভাঙচুর ও সরকারি ফাইল নষ্ট করেছেন তিনি। এ বিষয়ে আক্রান্ত নির্বাহী সহায়ক নিতাইচন্দ্র মণ্ডল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
প্রহৃত আধিকারিকের অভিযোগ, ‘মূলত, উপপ্রধান মামন শেখের উপর ওদের রাগ। তাঁকে না পেয়ে আমাকে দলবল নিয়ে আক্রমণ করেছে। বিডিও সাহেব ও পুলিশকে গোটা ঘটনার কথা জানিয়েছি।’ বিজেপির বোলপুর গ্রামীণ মণ্ডলের সভাপতি জয়দেব বিশ্বাস অবশ্য মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘কয়েক জন সার্টিফিকেটের জন্য পঞ্চায়েতে গেলে তাঁদের নানা ভাবে ঘোরাচ্ছিলেন ওই নির্বাহী সহায়ক। উপপ্রধান উলটে বলেছেন, বিজেপি ছেড়ে তৃণমূল করলে তাড়াতাড়ি ওই সার্টিফিকেট দিয়ে দেবে। তবে কাউকেই মারধর করা হয়নি।’
উল্লেখ্য, গতকালই বিজেপির এক পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে উঠেছিল একশো দিনের কাজের টাকা তছরূপের অভিযোগ। একশো দিনের কাজের ৯ লক্ষ টাকা তছরূপের অভিযোগ উঠেছে উত্তর ২৪ পরগনার গোপালনগর থানার চৌবেড়িয়া ২ পঞ্চায়েতের বিজেপির প্রধানের বিরুদ্ধে। বিজেপির ওই পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগ, কাজ না হওয়া সত্ত্বেও ৯ লক্ষ টাকা তুলে নিয়েছেন। এলাকাবাসীদের একাংশ প্রশাসনের কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ জানান।
স্থানীয় সূত্রে খবর, কাজ হয়ে গিয়েছে এমন দাবি করে একশো দিনের কাজের ৯ লক্ষ টাকা তুলে নিয়েছেন ওই পঞ্চায়েত প্রধান। কিন্তু বাস্তবে কোনও কাজই হয়নি। স্থানীয় বাসিন্দাদের কথায়, ‘আমরা পঞ্চায়েত প্রধানকে বারবার বলা সত্বেও আমার কথা কোনও গুরুত্বই দেওয়া হয়নি। তাই মহকুমা শাসকের কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ জানিয়েছি আমরা।’