কেন্দ্রের নতুন কৃষি আইনের প্রতিবাদে উত্তাল পাঞ্জাব
কেন্দ্রের নয়া কৃষি আইনের প্রতিবাদে পাঞ্জাব ও হরিয়ানায় শুরু হয়েছে কৃষক বিক্ষোভ। এই পরিস্থিতিতে তাঁদের পাশে দাঁড়িয়ে ওই আইন প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলনে নামছে কংগ্রেস। আগামী ৩-৫ অক্টোবর কৃষকদের সঙ্গে নিয়ে পাঞ্জাব ও হরিয়ানায় ট্রাক্টর মিছিল করবেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। এদিকে, কৃষি আইনের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার থেকে শিরোমণি অকালি দল তিনটি পৃথক কৃষক মিছিল শুরু করেছে। পাঞ্জাব থেকে চণ্ডীগড়ের উদ্দেশে শুরু হওয়া ওই মিছিলের একটির নেতৃত্বে রয়েছেন শিরোমণি অকালি দলের সুপ্রিমো সুখবীর সিং বাদল। অন্য একটি মিছিলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন তাঁর স্ত্রী তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরসিমরত কাউর।
এদিন রাতে চণ্ডীগড় প্রবেশ করতে গেলে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ অবশ্য তাঁকে ছেড়ে দেয় পুলিস। গত সপ্তাহেই বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ-র সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে অকালি দল। তার পরই এই কৃষক মিছিলের আয়োজন কার্যত দলের শক্তি যাচাই বলে স্বীকার করে নিয়েছেন সুখবীর সিং বাদল। অন্যদিকে, কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে এদিন থেকে পাঞ্জাবের কৃষকরা রেল অবরোধ শুরু করেছেন। অনির্দিষ্টকালের জন্য কৃষকরা এই কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন। ৩১টি কৃষক সংগঠন যৌথভাবে রেল অবরোধে যোগ দিয়েছেন। একইসঙ্গে পাঞ্জাবের কৃষকরা জানিয়েছেন, বেশকিছু বিজেপি নেতার বাড়ির সামনেও তাঁরা অবস্থান-বিক্ষোভ শুরু করেছেন।
কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছে, ট্রাক্টর মিছিল কর্মসূচিতে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং, এআইসিসি’র সাধারণ সম্পাদক তথা দলের তরফে পাঞ্জাবের দায়িত্বপ্রাপ্ত হরিশ রাওয়াত, পাঞ্জাব প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সুনীল জাখর সহ দলের মন্ত্রী ও বিধায়করা হাজির থাকবেন। তিনদিনে ওই ট্রাক্টর র্যালি ৫০ কিলোমিটারের বেশি পথ অতিক্রম করবে। প্রতিদিন বেলা এগারোটায় শুরু হবে মিছিল। কোভিড মহামারী পরিস্থিতিতে নিয়মকানুন মেনেই ওই কর্মসূচি চলবে। প্রথমদিন মিছিলটি ২২ কিমি পথ যাবে। মিছিল শুরুর আগে সভা হবে। সমাবেশের জন্য বিভিন্ন এলাকায় শস্যবাজারকে বেছে নেওয়া হয়েছে। পাতিয়ালায় একটি জনসভা দিয়ে কর্মসূচির তৃতীয় দিন অর্থাৎ ৫ অক্টোবরের মিছিল শুরু হবে। হরিয়ানা কংগ্রেস সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দিন রাহুল গান্ধী কুরুক্ষেত্র জেলার কৈথল ও পিপলিতে জনসভায় ভাষণ দেবেন। ছবি: পিটিআই