করোনায় মৃত্যু ৫০০ চিকিৎসকের, জানেই না কেন্দ্র
করোনা ভাইরাসের সঙ্গে লড়তে গিয়ে গত ৬ মাসে সংক্রামিত হয়ে অন্তত ৫০০ চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে বলে শুক্রবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন। যদিও দাবি অনুযায়ী সংখ্যাটি এর দ্বিগুণের বেশি বলে জানা গিয়েছে।
সংস্থার সভাপতি রঞ্জন শর্মা বলেছেন, কোভিড-১৯ সংক্রামিতদের চিকিৎসা করতে গিযে এপর্যন্ত ৫১৫ জন চিকিৎসক করোনায় সংক্রামিত হয়ে মারা গিয়েছেন। এঁরা সকলেই অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসক। এর বাইরে আরও অন্তত ৫০০ মৃত চিকিৎসকের নাম রয়েছে, যাঁদের মৃত্যু করোনাতেই হয়েছে কিনা, তা পরীক্ষা করা হচ্ছে। তাঁরাও করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অংশীদার ছিলেন।
আইএমএ-র পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ১৯৪ জন করোনা সংক্রামিতের পিছু এক জন চিকিৎসককে কাজ করতে হয়েছে। মৃত চিকিৎসকদের বেশিরভাগেরই (২০১ জন) বয়স ৬০-৭০ বছরের মধ্যে। ৫০ থেকে ৬০ বছর বয়সি চিকিৎসকদের মধ্যে মারা গিয়েছেন ১৭১ জন। করোনায় মৃত ৭০-এর বেশি বয়সী চিকিৎসকের সংখ্যা ৬৬। মৃতদের মধ্যে অপেক্ষাকৃত তরুণ (৩৫ থেকে ৫০ বছর বয়সি) চিকিৎসক রয়েছেন ৫৯ জন। ৩৫ বছরের নীচে ১৮ জন চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে করোনায়।
শর্মা বলেন, মহামারি মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ পরিকল্পনায় করোনা যোদ্ধা স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য মাথাপিছু ৫০ লক্ষ টাকার বিমা ঘোষণা করা হয়েছিল। সেটা যাতে পাওয়া যায়, আমরা সেই চেষ্টা করছি। তবে কোভিড যোদ্ধা মৃত চিকিৎসকদের সম্পর্কে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের কাছে কোনও তথ্য নেই বলে জানা গিয়েছে। রঞ্জন শর্মা জানিয়েছেন, আইএমএ-র ভারতজুড়ে ১৭৪৬টি শাখা থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে এই তথ্য ভাণ্ডার তৈরি করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী অশ্বিনী কুমার চৌবে জানিয়েছেন, স্বাস্থ্য পরিষেবা রাজ্যের অধীন বিষয় হওয়ায় তারা এব্যাপারে কোনও তথ্য সংগ্রহ করেননি। শর্মার বক্তব্য, কেন্দ্র এভাবে নিজের হাত ধুয়ে ফেলতে পারে না। আমরা নিশ্চয়ই এই বিষয়টি কেন্দ্রীয সরকারের শীর্ষ নেতৃত্বের নজরে আনব।