কমানো যাবে না চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের বেতন, নির্দেশ অর্থদপ্তরের
রাজ্য সরকারের বিভিন্ন অফিসে সরকারি এজেন্সির মাধ্যমে নিযুক্ত চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের বেতন থেকে অতিরিক্ত টাকা যাতে কাটা না-হয় সে ব্যাপারে ফের সক্রিয় হল অর্থদপ্তর। সংশ্লিষ্ট এজেন্সি দু’টিকে এই বিষয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, বেতন থেকে অনেক ক্ষেত্রে অতিরিক্ত টাকা কাটা হচ্ছে। অর্থদপ্তর আগেও নির্দেশ দিয়েছিল। তবু এটা চলছিল। এতে অর্থদপ্তর যে ক্ষুব্ধ সেটা বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। সরকারি নির্দেশমতোই ব্যবস্থা নিতে বলেছে অর্থদপ্তর।
সরকারের বিভিন্ন দপ্তর ও পরিচালিত সংস্থায় ডব্লবিইআইডিসি এবং ডব্লুটিএল-এর মাধ্যমে ডেটা এন্ট্রি অপারেটার-সহ কয়েক শ্রেণীর তথ্য-প্রযুক্তি কর্মী নিয়োগ করা হয়েছে। অভিযোগ, তাঁদের প্রাপ্য টাকা দেওয়া হচ্ছে না। সরকারি অফিসে কাজ করলেও এজেন্সিদের মাধ্যমে তাঁদের বেতন দেওয়া হয়। ফেব্রুয়ারিতে অর্থদপ্তরের এক নির্দেশিকায় জানানো হয়, এজেন্সির কমিশন ও প্রশাসনিক খরচ খাতে নির্দিষ্ট কিছু টাকা মোট বেতন থেকে তারা কাটতে পারবে। বেতন ছাড়াও কর্তৃপক্ষের তরফে দেয় ইপিএফ, ইএসআইয়ের অংশ, জিএসটি, এজেন্সির প্রাপ্ত কমিশন ও প্রশাসনিক খরচের টাকা সরকারের তরফে এজেন্সিদের দেওয়া হয়। কর্মীদের জন্য দেয় মোট বেতন থেকে কমিশন ও প্রশাসনিক খরচ খাতে নির্ধারিত টাকা ছাড়া শুধুমাত্র কর্মীদের অংশের ইপিএফ, বৃত্তিকর ও টিডিএস কাটা যাবে। ওই কর্মীদের বেতন, পিএফ, ইএসআই, প্রশাসনিক খরচ, কমিশন প্রভৃতির জন্য যে টাকা দেওয়া হয় তার উল্লেখ রয়েছে অর্থদপ্তরের ৩০ সেপ্টেম্বরের চিঠিতে। আরও বলা হয়েছে, কমিশন ও প্রশাসনিক খরচ বাবদ মোট ৫ শতাংশ টাকা এজেন্সিরা রাখতে পারে। কিন্তু অনেক সময় তারও বেশি কাটা হচ্ছে। এটা আর করা যাবে না। বোনাস থেকে কিছুই কাটা যাবে না। রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের নেতা মনোজ চক্রবর্তী বলেন, ২০১৯-এ চুক্তিভিত্তিক ডেটা এন্ট্রি অপারেটারদের বেতন বাড়িয়ে ১৩ হাজার টাকা করা হয়। কিন্তু অনেক জায়গায় এখনও ১০ হাজার টাকার কম বেতন দেওয়া হচ্ছে! বিষয়টি অর্থদপ্তরের নজরে আনা হয়েছে। ফেডারেশনের অপর নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, দপ্তর থেকে সরাসরি নিযুক্ত চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের ক্ষেত্রে বেতন বেড়েছে। কিন্তু এজেন্সির মাধ্যমে নিযুক্তদের অনেকেই কম বেতন পাচ্ছেন।