জঙ্গল রাজ চলছে উত্তরপ্রদেশে, কটাক্ষ শিবসেনার
হাথরাস নিয়ে যোগী আদিত্যনাথ সরকারের উদ্দেশে কটাক্ষ করল শিব সেনা। আর খোঁচাটা এল অযোধ্যার রাম মন্দির প্রসঙ্গকে সামনে রেখে। মহারাষ্ট্রের শাসকদলের দাবি, অযোধ্যায় যতই রাম মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হোক উত্তরপ্রদেশে ‘জঙ্গলের রাজত্ব’ চলছে।
শিব সেনার মুখপত্র ‘সামনা’র সম্পাদকীয়তে উত্তরপ্রদেশ সরকারের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আক্রমণ করে লেখা হয়েছে, ‘‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অযোধ্যায় রাম মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন। কিন্তু উত্তরপ্রদেশে কোথাও কোনও ‘রামরাজ্য’ নেই। মহিলাদের প্রতি নির্মম আচরণের সংখ্যা বেড়েই চলেছে রাজ্যে। তরুণীদের ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা ক্রমবর্ধমান।’’
ওই সম্পাদকীয়তে আরও লেখা হয়েছে, ‘‘হাথরাসে এক ১৯ বছরের তরুণীকে ধর্ষণ করে হত্যা করা হয়েছে। গোটা দেশ এর বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছে। মরণাপন্ন অবস্থাতে আক্রান্ত তরুণী বলে গিয়েছেন, তাঁকে ধর্ষণ করা হয়েছিল। কিন্তু উত্তরপ্রদেশের সরকার এখন বলছে, ওই তরুণী ধর্ষিতই হয়নি।’’ ওই সম্পাদকীয়তে আরও প্রশ্ন তোলা হয়েছে, ‘‘সরকার বলছে ধর্ষণ যখন হয়নি, তাহলে কেন বিরোধীরা কান্নাকাটি করছে। কিন্তু যদি ওই তরুণী ধর্ষিতই না হয়ে থাকেন তাহলে কেন পুলিশ মাঝরাতে তাঁর শেষকৃত্য করল?’’
পাশাপাশি শিব সেনার আরও অভিযোগ, হাথরাসের তরুণীর মৃতদেহে পেট্রল ঢেলে দাহ করেছে পুলিশ। তাদের প্রশ্ন, হিন্দু ঐতিহ্যের কোনও ধারায় এমন অমানবিক আচরণের কথা বলা আছে। এছাড়াও এবছরের এপ্রিলে মহারাষ্ট্রের পালঘরে দু’জন সাধুকে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় যোগী আদিত্যনাথের বিবৃতির প্রসঙ্গ তুলে ওই সম্পাদকীয়তে উদ্ধব ঠাকরের দলের অভিযোগ, সেবার হিন্দুত্বের শঙ্খ বাজিয়েছিলেন যোগী। তাহলে এবার তিনি নীরব কেন?
প্রসঙ্গত, গত ১৪ সেপ্টেম্বর উত্তরপ্রদেশের হাথরাস জেলার ওই দলিত যুবতী ধর্ষণ এবং নৃশংসতার শিকার হন। দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে মঙ্গলবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়।