হাতির হানায় মৃতের পরিবারের সদস্য চাকরি পাবেন- মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রশাসনিক সভা থেকে হাতির আক্রমণে মৃতদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য প্রদানের কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। মৃতের পরিবারের একজনকে হোমগার্ড পদে চাকরি দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি। পাশপাশি, এদিনই দাঁতালের হামলায় মৃত ওই জেলার একজনের পরিবারের সদস্যের হাতে চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর-সহ বাংলার বেশ কয়েকটি জেলায় প্রায়শই তাণ্ডব চালায় দাঁতাল বাহিনী। কখনও জঙ্গল ছেড়ে লোকালয়ে ঢুকে তনছন করে দেয় বাজার-ঘাট। কখনও হামলা করে বাড়িতে। রীতিমতো ভাঙচুর চালায় তারা। কখনও আবার দীর্ঘক্ষণ আটকে রাখে সড়ক। সাধারণ মানুষও রেহাই পায় না দাঁতাল বাহিনীর রোষানল থেকে। ওই সব জেলায় হাতির হানায় মৃত্যুর ঘটনাও ঘটে প্রচুর। সেই কথা বিবেচনা করেই এদিন পশ্চিম মেদিনীপুরের সভা থেকে হাতির হানায় মৃতদের পরিবারের সদস্যদের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন তিনি বলেন, “ঝাড়গ্রামে হাতির তাণ্ডবে একাধিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটে, পশ্চিম মেদিনীপুরেও ঘটে। সেই কারণে সরকারের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, হাতির হানায় মৃতের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য করা হবে। পাশাপাশি, মৃতের পরিবারের একজন চাকরিও পাবেন হোমগার্ড পদে।” পাশাপাশি মাওবাদী হামলায় মৃত অথবা ১০ বছর ধরে নিখোঁজের পরিবারের একজনকে চাকরি অথবা ৪ লক্ষ ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে বলেও এদিন ঘোষণা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
উল্লেখ্য, করোনা আবহে সম্প্রতি উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে ভারচুয়ালি প্রশাসনিক সভা করেন। এরপর মঙ্গলবার পশ্চিম মেদিনীপুরে যোগ দিলেন প্রশাসনিক বৈঠকে। সেখানে করোনা থেকে পুজো, মাটি সৃষ্টি প্রকল্প-সহ একাধিক ইস্যুতে প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। করোনা নিয়ে সাধারণ মানুষ ও আধিকারিক দুই পক্ষকেও আরও বেশি সচেতন থাকার পরামর্শও দেন। আগামীকাল ঝাড়গ্রামে যাবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।