গোর্খাল্যান্ড নয় জিটিএ, রাজ্য সরকারের চাপে সুর বদল কেন্দ্রের
পশ্চিমবঙ্গের জন্য অত্যন্ত স্পর্শকাতর বিষয় হচ্ছে ‘গোর্খাল্যান্ডে’র দাবি। বাঙালি মাত্র ‘বঙ্গভঙ্গে’র বিরোধী। তাই সমালোচনার মুখে পড়ে ও আসন্ন বিধানসভার কথা মাথায় রেখে ‘গোর্খাল্যান্ড’ নিয়ে বৈঠককে ‘GTA’ বৈঠকের নাম দিল কেন্দ্র।
রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব, দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক, জিটিএ-র প্রধান সচিব ও জিএমএম সভাপতিকে চিঠি লিখে বুধবার ‘গোর্খাল্যান্ড’ সম্পর্কিত বৈঠকে ডাকেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিষাণ রেড্ডি। কিন্তু রাজ্য সরকারকে লেখা চিঠিতে স্পষ্ট করে লেখা ছিল একটি শব্দ, ‘গোর্খাল্যান্ড’।
ওই চিঠি আসার পরই সরব হয় রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। অভিযোগ ওঠে, বিধানসভা ভোটের মুখে বাংলা ভাগ করতে চাইছে কেন্দ্র। অন্যদিকে, রাজ্য সরকারেরও বক্তব্য, গোর্খাল্যান্ড বলে চিঠিতে লিখে কী বোঝাতে চাইছে কেন্দ্র! তবে কি বাংলা ভাগ করতে চাইছে বিজেপি। এটা কখনওই হতে দেওয়া যাবে না। রাজ্যের ওই প্রতিক্রিয়ার পর এবার নতুন করে চিঠি লিখে বৈঠকে আলোচনার বিষয়বস্তু বদল করল কেন্দ্র।
রাজ্যকে লেখা নতুন একটি চিঠিতে লেখা হয়েছে, ওই বৈঠক হবে নির্দিষ্ট তারিখেই। তবে বৈঠকের বিষয়বস্তু হবে ‘গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন সম্পর্কিত বিষয় ‘। অর্থাত্ একপ্রকার রাজ্য সরকারের চাপের মুখেই সুর বদল করল কেন্দ্র, এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগেই গোর্খাল্যান্ডের ‘সমর্থনে’ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে পত্রাঘাত করলেন মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড সাংমা। ভারতীয় সমাজে গোর্খাদের অবদানের কথা উল্লেখ করে জনগোষ্ঠীটির পৃথক রাজ্যের দাবি খতিয়ে দেখার আবেদন জানান ‘ন্যাশনাল পিপলস পার্টি’র প্রধান। সেপ্টেম্বরের ৪ তারিখ অমিত শাহকে চিঠি পাঠান কনরাড (Conrad Sangma)। তবে গতকাল বা মঙ্গলবার বিষয়টি প্রকাশ করে এনডিএ’র জোটসঙ্গী ন্যাশনাল পিপলস পার্টি। ওই চিঠিতে স্বাধীনতা সংগ্রামী তথা আজাদ হিন্দ ফৌজের (INA) শহিদ গোর্খা সৈনিক মেজর দুর্গা মল্লর কথাও উল্লেখ করেন মেঘলিয়ের মুখ্যমন্ত্রী।