দুর্গাপুজো উপলক্ষ্যে করোনা গাইডলাইন দিল কেন্দ্র
বড় দুষ্টু করোনাসুর! তাই ছোটদের দুর্গা পুজোর আনন্দ এবার একপ্রকার মাটিই হতে চলেছে। বয়ষ্কদেরও বাধা বাইরে বেরনোয়। অন্তঃসত্ত্বাদেরও পরামর্শ, থাকুন বাড়িতেই। শরীরে অন্য রোগ রয়েছে, এমন ব্যক্তিদেরও থাকতে হবে ঘরেই। আগামী উৎসব মরশুমের জন্য মঙ্গলবার এই মর্মেই গাইডলাইন জারি করল স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
করোনার সংক্রমণ রোখাই কেন্দ্রের কাছে চ্যালেঞ্জ। সেই মতো ধর্মীয় অনুষ্ঠান, পুজো, প্রদর্শনী, মেলা, সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সরাসরি বাধা না দিলেও জারি হল একগুচ্ছ বিধিনিষেধ। কন্টেইনমেন্ট জোনে কোনওভাবেই চলবে না কোনও পুজো-পার্বণ। সেখানকার বাসিন্দাদেরও এলাকার বাইরে না বেরনোয় পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। অংশ নিতে বারণ করা হয়েছে পুজোয়। এমনকী সুস্থদেরও। উৎসব পালন করতে হবে বাড়িতেই।
স্বাস্থ্যমন্ত্রক নির্দেশিকা দিয়ে জানিয়ে দিল, সাবধানতাই সবার আগে। তাই মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজ করা, পরষ্পরে দূরত্ব বজায় রাখার মতো বিষয় তো অভ্যেসে পরিণত করতে হবেই, তার সঙ্গে উৎসবের এই মরশুমে ১০ বছরের কম ও ৬৫ বছরের বেশি বয়সিদের বাড়িতেই থাকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। বাড়িতে বসে টিভি বা অনলাইনেই পুজো দেখার পরামর্শ দিয়েছে মোদি সরকার।
করোনার ভাইরাস ‘সার্স কোভ-টু’ মারাত্মক সংক্রামক। তাই পুজো আয়োজকরা যাতে ভিড় এড়াতে পারে, তার দিকে কড়া নজরদারি চালানোর নির্দেশিকা দিয়েছে কেন্দ্র। সবাই যাতে মাস্ক পরেন এবং প্যান্ডেলে যাতে একজোট হয়ে হল্লা না হয়,তার জন্য সিসিটিভি লাগানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া মণ্ডপের প্রবেশ পথে থার্মাল গান, অ্যালকোহলযুক্ত স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা তো বটেই। প্রবেশ-প্রস্থানের পথও হতে হবে পৃথক। প্যান্ডেলে রাখতে হবে ক্রস ভেন্টিলেশন ব্যবস্থা।
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের জারি করা নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ভিড় এড়াতে একই সময়ে দর্শনার্থীদের ঠাকুর দেখার বদলে তা ভেঙে দেওয়া হোক। অষ্টমীতে ঠাকুর দেখার ভিড় যেন কোনওভাবেই উপচে না পড়ে। প্রতিমা দর্শন বা রামলীলা দেখতে গিয়ে কারও মধ্যে যদি করোনা ভাইরাসের সামান্যমাত্র উপসর্গ ধরা পড়ে, তাহলে সেই ব্যক্তিকে সঙ্গে সঙ্গে অন্যদের থেকে পৃথক করতে হবে। সরিয়ে নিয়ে যেতে হবে আলাদা জায়গায়।
সেই মতো পুজো প্যান্ডেল, মেলা, প্রশর্দনীতে আগেভাগেই আয়োজকদের আইসোলেশন রুমের ব্যবস্থা রাখতে হবে। সভা বা বিসর্জনের শোভাযাত্রার ক্ষেত্রে বন্দোবস্ত রাখতে হবে অ্যাম্বুলেন্সের। আগেভাগে সতর্ক করে রাখতে হবে হাসপাতালকে। যাতে কেউ অসুস্থ হলেই সময় নষ্ট না করে ভর্তি করে দেওয়া যায়। সাধারণ সময়ের পরীক্ষায় মোটামুটি পাশ করে গেলেও উৎসবের মরশুমে করোনার সংক্রমণ রোখাই সরকারের বড় চ্যালেঞ্জ।