ডলফিন সাফারি, এবার বাংলার গঙ্গাতেও
ডলফিন (Dolphin)। শব্দের উৎপত্তি গ্রিস থেকে। সেই সুবাধে যদি অর্থ করা যায় তাতে মানে দাঁড়ায়, ‘গর্ভ যুক্ত মাছ’। সুস্বাদু জলের রাজত্বে নিজের মতো থাকে ডলফিনরা। মসৃণ ত্বকে সূর্যের আলো যখন পিছল খায় তা আরও চকচকে হয়ে ওঠে। দৃষ্টি আকর্ষণ করে। তবে অল্পক্ষণের জন্যই। চোখের পলকেই ফের জলের মধ্যে লুকিয়ে পড়ে। সাধারণত সমুদ্রের জলেই দেখা যায় ডলফিনদের। তবে গঙ্গার জলেও রয়েছে এদের অবাধ বিচরণ। সংখ্যায় কম হলেও গঙ্গা ডলফিনদের (Ganga dolphin)দেখা মেলে কাল বিশেষে। তবে এবার ইচ্ছে হলেও জলজ এই প্রাণীগুলির দেখা পেতে পারেন। তাও আবার নিজের রাজ্যের গঙ্গার বুকে। ব্যান্ডেলের মতো চেনা জায়গায়।
সোমবার ছিল জাতীয় গ্যাঞ্জেটিক ডলফিন ডে (Gangetic Dolphin Day)। সেই অবসরেই গঙ্গা ডলফিন সাফারির কথা ঘোষণা করা হয়। ন্যাশনাল মিশন ফর ক্লিন গঙ্গার (NMCG) পক্ষ থেকে এই ঘোষণা করা হয়। যার মাধ্যমে দেশের ছয় স্থানে গঙ্গা ডলফিনদের দেখার জন্য বিশেষ সাফারির ব্যবস্থা করা হবে। এরই একটি স্থান পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) ব্যান্ডেল এলাকা (Bandel)। অর্থাৎ সপ্তাহান্তে যদি ব্যান্ডেলে যাওয়ার কথা ভাবেন। ভাবেন বিখ্যাত চার্চ কিংবা মকবরা দেখবেন। নিজের দেখার তালিকায় এবার গঙ্গা ডলফিন জলজ সাফারি (Dolphin Jalaj Safari) রাখতেই পারেন।
পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া এই অন্যান্য ছয় জায়গার মধ্যে উল্লেখযোগ্য উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) বারাণসীর প্রয়াগরাজ (Prayagraj), বিজনোর। রয়েছে বিহারের কাহালগাও (Kahalgaon)। এই জায়গাগুলিতে ডলফিন জলজ সাফারিতে নিয়ে যাবেন গঙ্গা প্রহরীরা (Ganga Prahris)। এই সমস্ত স্বেচ্ছাসেবীরা গঙ্গার পরিচ্ছন্নতা এবং দেশের বৃহত্তম নদীর প্রাণী গুলিকে সংরক্ষণের কাজ করেন। প্রয়োজনে এঁদের কাছ থেকে গঙ্গার ডলফিন সম্পর্কে অনেক তথ্যও পেতে পারেন।
আপাতত দেশের হস্তিনাপুর বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ এলাকায় প্রায় ৩৬টি গঙ্গা ডলফিন রয়েছে। এই এলাকার মধ্যে বিজনোরের পাশাপাশি আমরোহা, মীরাট, মুজফফরনগর এবং হাপুর জেলা পড়ে। যেখানে ডলফিনদের সংরক্ষণ করা হয়। তাদের বংশ বৃদ্ধির চেষ্টা করা হয়। সোমবারই ‘ মাই গঙ্গা মাই ডলফিন’ (My Ganga My Dolphin) প্রকল্পের সূচনা করা হয়। যার মাধ্যমে এই কাজে আরও জোর দেওয়া হবে।