রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

৪০টি পুরসভার আবর্জনা ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব নিতে ইচ্ছুক রামকি

October 7, 2020 | 2 min read

বাড়ি থেকে আবর্জনা সরিয়ে ফেলে নিশ্চিন্ত বোধ করেন সকলে। এরপর তা রাস্তাঘাটে পড়ে থাকল, না নিকাশি নালার গতি আটকে দিল, তা নিয়ে মাথাব্যাথা থাকে না শহরবাসীর। ফলে যা হওয়ার তাই হয়। যত্রতত্র আবর্জনা পড়ে থেকে দূষিত হয় পরিবেশ। নালার মুখ আটকে গিয়ে বর্ষায় থৈ থৈ করে রাস্তাঘাট। বাড়ে মশা-মাছির উপদ্রবও। একমাত্র বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মাধ্যমেই বদলাতে পারে এই ছবি। এবার কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকার ৪০টি পুরসভার জন্য সেই কাজই করার আগ্রহ দেখাল কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সংস্থা ‘রামকি’।

দিল্লি ও হায়দরাবাদে সাফল্যের সঙ্গে জঞ্জাল অপসারণ ও ব্যবস্থাপনার কাজ করছে রামকি। এমনকী, এ রাজ্যের হলদিয়াতেও কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কাজ দায়িত্বের সঙ্গে সামলাচ্ছে সংস্থাটি। রামকি জানিয়েছে, শুধু জঞ্জাল সাফাই নয়, প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে সেগুলির ব্যবস্থাপনার কাজও করবে তারা। এমনিতেই দিনদিন জনসংখ্যার চাপ বাড়ছে শহরে। তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে বর্জ্যের পরিমাণ। কিন্তু, সেই বর্জ্য ফেলার জন্য জমি ক্রমশ অপ্রতুল হয়ে পড়ছে। আগামী দিনে পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে, তা আঁচ করা অসম্ভব নয়। এক্ষেত্রে একমাত্র সমাধান হতে পারে বর্জ্যের সঠিক ব্যবস্থাপনা। অর্থাৎ, বর্জ্যের বিকল্প ব্যবহার। এই পুরো প্রক্রিয়াটি কীভাবে সম্ভব হবে, তা পাওয়ারপয়েন্ট প্রেজেন্টেশন দিয়ে রাজ্য সরকারকে বুঝিয়েছে রামকি।

দিল্লি এবং হায়দরাবাদে কীভাবে তারা এই কাজ করছে, দেখানো হয়েছে তাও। ঠিক হয়েছে, রামকির কাজ সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে আজ, বুধবার পর্যায়ক্রমে দিল্লি এবং হায়দরাবাদ যাবে রাজ্য সরকারের প্রতিনিধি দল। সেই দলে রয়েছেন স্টেট আর্বান ডেভেলপমেন্ট এজেন্সির (সুডা) ডিরেক্টর শান্তনু মুখোপাধ্যায়, যুগ্মসচিব অরূপরতন মুখোপাধ্যায়, নবদিগন্তের এগজিকিউটিভ অফিসার বদ্রিনারায়ণ কর, দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের মুখ্য ইঞ্জিনিয়ার তাপস গুপ্ত এবং যুগ্মসচিব জলি চৌধুরী। তাঁরা ফিরে এসে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে রিপোর্ট দেবেন। তারপরই ওই সংস্থাকে বরাত দেওয়া হবে কি না, সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Waste Management, #RAMKI

আরো দেখুন