রাজ্য সরকারকে সাত দফা প্রস্তাব গ্লোবাল অ্যাডভাইজারি বোর্ডের
পুজোয় করোনা সংক্রমণের বাড়বাড়ন্ত ঠেকাতে রাজ্যকে সাত দফা সুপারিশের সিদ্ধান্ত নিল করোনা ঠেকাতে রাজ্যের উচ্চপর্যায়ের কমিটি গ্লোবাল অ্যাডভাইজারি বোর্ড। সম্প্রতি বোর্ডের সদস্যরা বৈঠকে বসেন। যার মূল সুরই ছিল পুজোয় করোনা সংক্রমণের বাড়বৃদ্ধি ঠেকানো।
বোর্ডের এক সিনিয়র সদস্য জানান, জায়গা অনুযায়ী বিভিন্ন পুজো কমিটি নানা মাপের মণ্ডপ বানাচ্ছেন। আমরা চাইছি, মণ্ডপে বায়ু চলাচলের অবাধ সুযোগ থাকুক। যাতে সংক্রমণ না ছড়ায়।
প্রথম সুপারিশ হল, কালবিলম্ব না করে সরকার একটি আদর্শ পুজো মণ্ডপের মডেল বানাক। বিভিন্ন পুজো কমিটি যাতে তা অনুসরণ করে, সেটা সুনিশ্চিত করুক।
দুই, সর্বত্র মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা হোক। সরকার বিনামূল্যে সাধারণ মানুষকে দু’টি করে থ্রি লেয়ার মাস্ক দিক।
তিন, সরকার পুজো কমিটিগুলিকে এককালীন ৫০ হাজার টাকা অর্থ সাহায্য করছে। কমিটিগুলি সেই টাকায় দর্শনার্থীদের জন্য মাস্ক, স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা করুক। বোর্ডের এক সদস্যের মন্তব্য, ‘যতদিন না ভ্যাকসিন বেরচ্ছে, করোনার বিরুদ্ধে সবচেয়ে কার্যকরী অস্ত্র মাস্কই। বাংলায় পুজো দেখতে প্রতিবেশী রাজ্যগুলি থেকে বহু মানুষ ভিড় করেন। সংক্রমণ ঠেকাতে তাই মাস্ক সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
চার, প্রতিটি পুজো কমিটিকে ব্যানার, প্ল্যাকার্ডে সামাজিক দূরত্ব পালন, সাবান বা স্যানিটাইজারে হাত ধোওয়া সহ স্বাস্থ্যকর বার্তা প্রচার করতে হবে।
পাঁচ, কোন কোন জেলার করোনা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক, কোথায় সন্তোষজনক, সেই তালিকা প্রস্তুত করতে হবে।
অন্যদিকে কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলির সংক্রমণ মেলালেই প্রায় দেড় লক্ষ সংক্রমণ ছাড়াচ্ছে।
সাত, জেলায় জেলায় করোনা পরীক্ষাকেন্দ্র বাড়াতে হবে। জেলার মানুষদের মধ্যে করোনা মহামারী নিয়ে প্রচার আরও বাড়াতে হবে।
এ বিষয়ে ফোরাম ফর দুর্গোৎসব’এর অন্যতম কর্মকর্তা পার্থ ঘোষ বলেন, জুলাই মাসেই আমরা পুজো নিয়ে ২০ দফা সতর্কতা ঘোষণা করেছিলাম। এখন মডেল মণ্ডপ মেনে কাজ করার সময় কই! তবে খোলামেলা মণ্ডপ করায় জোর দিচ্ছি প্রায় সকলেই। চাকচিক্য মণ্ডপের ভিতরের থেকে বাইরেই বেশি হবে। বাইরে থেকেই মণ্ডপের বেশিরভাগ অংশ দেখার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। পুজো কমিটিগুলির তরফ থেকে বিনামূল্যে মাস্ক সরবরাহ করা উচিত, মানছেন পার্থবাবুও।