৩৯ জোড়া স্পেশাল ট্রেনের ঘোষণা, বাংলার ভাগ্যে মাত্র ৪টি
আরও ৩৯ জোড়া স্পেশাল ট্রেনের ঘোষণা করল রেলবোর্ড। এর মধ্যে বাংলার ভাগ্যে জুটেছে চারটি ট্রেন—সাঁতরাগাছি-চেন্নাই এসি এক্সপ্রেস, হাওড়া-যশবন্তপুর এসি এক্সপ্রেস, হাওড়া-পুনে এসি দুরন্ত এবং হাওড়া-রাঁচি শতাব্দী এক্সপ্রেস। এর মধ্যে সাঁতরাগাছি-চেন্নাই এসি এক্সপ্রেস চলবে সপ্তাহে দু’দিন। হাওড়া-যশবন্তপুর এসি এক্সপ্রেস চালানো হবে সাপ্তাহিকভাবে। হাওড়া-পুনে এসি দুরন্ত চলবে সপ্তাহে দু’দিন। রবিবার বাদে সপ্তাহের বাকি দিনগুলিতে চলবে হাওড়া-রাঁচি শতাব্দী এক্সপ্রেস। জারি করা নির্দেশিকায় রেলবোর্ডের ডেপুটি ডিরেক্টর (কোচিং) বিবেককুমার সিনহা প্রতিটি জোনের জেনারেল ম্যানেজারদের নির্দেশ দিয়েছেন, যত দ্রুত সম্ভব, এই ট্রেনগুলি চালানোর তারিখ নির্ধারণ করতে। মনে করা হচ্ছে, পুজোর অনেক আগেই এই ৩৯ জোড়া ট্রেন চালাবে সংশ্লিষ্ট জোনগুলি। ঘোষিত এই অতিরিক্ত স্পেশাল ট্রেনের তালিকায় চার জোড়া ডবল ডেকার ট্রেনও আছে। রেল জানিয়েছে, এই ৩৯ জোড়া ট্রেন প্রস্তাবিত উৎসব স্পেশাল ট্রেনের অন্তর্ভুক্ত নয়। উৎসবের মরশুমে যে যাত্রীবাহী স্পেশাল ট্রেনগুলি চলবে, তার তালিকা শীঘ্রই ঘোষণা হবে। রেলের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, এবার থেকে যাত্রীবাহী স্পেশাল ট্রেন হিসেবেই চলবে শতাব্দী এবং দুরন্ত এক্সপ্রেস। সরকারি সূত্রে খবর, বিভিন্ন রুটের যাত্রী চাহিদা খতিয়ে দেখেই ৩৯ জোড়া ট্রেন ঘোষণা করা হয়েছে। এগুলি রেগুলার ট্রেন হলেও আপাতত স্পেশাল হিসেবেই চালানো হবে।
অন্যদিকে, করোনার জন্য প্রায় সাত মাস বন্ধ থাকার পর আগামী ১৭ অক্টোবর থেকে ফের যাত্রা শুরু করছে আইআরসিটিসি পরিচালিত ‘বেসরকারি’ তেজস ট্রেন। সেই ট্রেনের জন্য একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করেছে রেল। সবচেয়ে বড় কথা, ‘বেসরকারি’ ট্রেনে উঠলেই এবার একটি করে কোভিড প্রোটেকশন কিট পাবেন যাত্রীরা। এর মধ্যে থাকবে এক বোতল হ্যান্ড স্যানিটাইজার, মাস্ক, ফেস শিল্ড এবং একজোড়া গ্লাভস। করোনা প্রতিরোধের লক্ষ্যে নির্দিষ্ট দূরত্ববিধি বজায় রাখতে নেওয়া হচ্ছে বিশেষ উদ্যোগ। ‘বেসরকারি’ ট্রেনে পর্যায়ক্রমে একটি আসন খালি রাখা হবে। অর্থাৎ, ওই আসনের জন্য কোনওরকম বুকিং হবে না। যাত্রীরাও কোনও পরিস্থিতিতে আসন পরিবর্তন করতে পারবেন না। বুধবার রেলমন্ত্রকের তরফে একথা জানানো হয়েছে।
‘বেসরকারি’ তেজস চলবে লখনউ-নয়াদিল্লি এবং আমেদাবাদ-মুম্বই রুটে। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, এই ট্রেনের যাত্রীদের জন্য ফেস মাস্ক বা শিল্ড এবং আরোগ্য সেতু অ্যাপের ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। ট্রেনে ওঠার আগে যাত্রীদের থার্মাল স্ক্রিনিংয়ের পাশাপাশি লাগেজ জীবাণুমুক্ত করা হবে। আইআরসিটিসির জনসংযোগ আধিকারিক সিদ্ধার্থ সিং বলেন, ‘কোভিড-১৯ প্রোটেকশন কিট যাত্রীদের বিনামূল্যে দেওয়া হবে। ট্রেনের খাবার দেওয়া হবে করোনা-পূর্ব সময়ের মতোই।’ অর্থাৎ, বেসরকারি তেজসে মিলবে রান্না করা খাবার। যার দাম ধরা থাকবে টিকিটে।