যোগীরাজ্যে নিখোঁজ উন্নাও নির্যাতিতার ভাইপো
হাথরসের গণধর্ষিতা দলিত তরুণী মারা যাওয়ার পর শোরগোল পড়ে গিয়েছে গোটা দেশে। যোগী সরকারকে দুষছে মিডিয়া থেকে বিরোধীরা। তবে হাথরস নিয়ে তোলপাড়ের মধ্যেই ফের নাটকীয় মোড় গত বছরের ডিসেম্বরে প্রায় হাথরস কাণ্ডের মতোই আলোড়ন ফেলে দেওয়া উন্নাও গণধর্ষণকাণ্ডে। উন্নাওয়ে বছর চব্বিশের যস দলিত মহিলাকে গণধর্ষণ ও পুড়িয়ে মারার চেষ্টা করা হয়েছিল এবার চার দিন ধরে নিখোঁজ তাঁর ভাইপো। ছ’বছরের ওই শিশুকে খুঁজতে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের ১৪টি দল একযোগে তদন্তে নামলেও এখনও তার সন্ধান মেলেনি।
নিখোঁজ ওই শিশু উন্নাওয়ের নির্যাতিতার দাদার ছেলে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, চার দিন আগে গ্রামের একটি পুকুরের ধারে ওই শিশুটিকে খেলতে দেখেছিলেন গ্রামের বাসিন্দারা। কিন্তু রাতে বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকেরা থানায় নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁদের অভিযোগ, ওই শিশুর নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার পিছনে অভিযুক্তদের হাত রয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, নির্যাতিতার পরিবারের অভিযোগে নাম থাকা পাঁচ জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ওই পাঁচ জনই অভিযুক্তদের আত্মীয়। ওই শিশুকে যখন পুকুরের ধারে শেষ দেখা গিয়েছিল, তখন ওই পাঁচ জনকেও সেই চত্বরে দেখা গিয়েছিল। আটক পাঁচ জনের মোবাইলের লোকেশন টাওয়ারেও তার প্রমাণ মিলেছে বলে তদন্তকারী অফিসারদের দাবি।
উন্নাওয়ের পুলিশ সুপার আনন্দ কুলকার্নি বলেন, ‘উন্নাও, লখনউ ও রায়বরেলী মিলিয়ে মোট ১৪টি দল গঠন করা হয়েছে ওই শিশুকে খুঁজতে।’ উল্লেখ্য, আদালতের নির্দেশে উন্নাওয়ের নির্যাতিতার পরিবারের নিরাপত্তার দায়িত্ব ছিল পুলিশের ওপর। সেই মতো পুলিশ মোতায়েনও ছিল। তবে তার মধ্যেই এমন ঘটনা ঘটে যাওয়ায় বেজায় অস্বস্তিতে পড়েছে যোগী প্রশাসন। যদিও নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরেই নিরাপত্তায় মোতায়েন তিন পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।