বিগ বি অভিনীত এই ভিন্ন স্বাদের ছবিগুলো দেখেছেন?
অমিতাভ বচ্চন – এই নামটা নিজেই নিজের পরিচায়ক। তাঁর জন্য আলাদা করে কোনও পরিচয়ের প্রয়োজন নেই। আজও হিন্দী সিনেমার উজ্বলতম নক্ষত্র তিনি। শুরু করেন অ্যাঙ্গরি ইয়ং ম্যান হিসেবে এবং আজও বলিউডের সেহেনশা হিসেবে পরিচিত। দেখে নেওয়া যাক তাঁর অভিনীত কিছু ভিন্ন স্বাদের ছবি।
১. আনন্দ (১৯৭১)
এই ছবিটি আনন্দ নামক এক ব্যক্তির জীবনের ওপর যার আয়ু খুব কম কিন্তু তিনি ঐ বাকি সময়ে আনন্দ বিতরন করতে চান। এখানে অমিতাভ বচ্চন ডা ভাস্কর ব্যানার্জির ভূমিকায় অভিনয় করেন যিনি নিজের পেশায় হতাশ কারণ তিনি অনেক মুমূর্ষু ও গরীব রোগীকে বাঁচাতে পারছেন না। একদিন দুজনের পরিচয় হয় এবং একে অপরকে ভালো লাগে। এক সময় ঐ স্বল্পায়ু আনন্দ মারা যান। এই সিনেমায় অমিতাভ বচ্চন ও রাজেশ খান্না দুজনেই অনবদ্য।
২. পিঙ্ক (২০১৬)
মিনাল (তাপসী পান্নু), ফলক (কৃতি কুলহারি) ও অ্যান্দ্রিয়া (অ্যান্দ্রিয়া তারিয়াং) এক সঙ্গে থাকতো। এক রাতে রাজবির (অঙ্গদ বেদী) যৌন নিগ্রহ করেন মিনালকে। কিন্তু, সেখান থেকে তিন বন্ধু পালাতে সক্ষম হন। এই ঘটনার বিচার চেয়ে তারা অ্যাটর্নি দীপক সেহেগালের (অমিতাভ বচ্চন) দারস্থ হন। এখানে অমিতাভ বচ্চন অসাধারণ অভিনয় করেছেন ঐ অ্যাটর্নির ভূমিকায়।
৩. ব্ল্যাক (২০০৫)
এই সিনেমার মিশেল ম্যাকনেলি (রানী মুখার্জি) অন্ধ, মূক ও বধির এক মহিলার ভূমিকায় অভিনয় করেন। অমিতাভ বচ্চন অভিনয় করেন দেবরাজ সহায় নামক শিক্ষকের ভূমিকায়। এখানে শিক্ষক ও ছাত্রীর অসাধারণ অভিনয় সকলকে মুগ্ধ করেছে।
৪. বদলা (২০১৯)
এক তরুণ শিল্পপতি ঘুম থেকে উঠে দেখে তিনি এক হোটেলের ঘরে প্রেমিকার মরদেহের সঙ্গে বন্দী। তিনি এক উকিল নিযুক্ত করেন কি ঘটেছিল, জানার জন্য। এখানেও উকিলের ভূমিকায় আছেন অমিতাভ বচ্চন। পাশাপাশি আছেন তাপসি পান্নু। খুবই রোমাঞ্চকর এই ছবি।
৫. পিকু (২০১৫)
এক বাবা ও তার মেয়ের সম্পর্কের ওপর নির্মিত এই সিনেমা। দীপিকা পাডুকন এবং অমিতাভ বচ্চন দুজনেই অনবদ্য অভিনয় করেছেন। খিটখিটে মেজাজের ৭০ বছরের ভাস্করের (অমিতাভ বচ্চন) সঙ্গে সারাক্ষণ খটমট লেগে থাকতো তার মেয়ের। সিনেমা দেখে একবারও মনে হবে না এখানে কেউ অভিনয় করছে অভিনয়। এই সিনেমাতে আছেন ইরফান খান।
৬. সরকার (২০০৫)
মুম্বইতে সমান্তরাল সরকার চালানো এক গডফাদারের গল্প এটি। যখন তিনি বন্দী হন, তখন তার ছেলে তার বাবার শত্রুদের সঙ্গে বদলা নেওয়া শুরু করে। এখানে সরকারের ভূমিকায় অমিতাভ বচ্চন সকলের মন কেড়ে নেন নিজের অনবদ্য সাবলীল অভিনয়ের মাধ্যমে।
৭. ১০২ নট আউট (২০১৮)
এটি একটি মজার ছবি। যেখানে বাবার বয়স ১০২ এবং ছেলের ৭৫। এখানে বাবার ভূমিকায় অভিনয় করেছেন অমিতাভ বচ্চন ও ছেলের ভূমিকায় ঋষি কাপুর। এখানে বাবা ১১৮ বছর জীবিত থাকা এক চীনা ভদ্রলোকের রেকর্ড ভাঙতে চান আর ছেলে সবসময় তাকে নিরুৎসাহিত করে। এই নিয়েই গল্প।
৮. বাগবান (২০০৩)
যখন আমাদের অভিভাবকরা বৃদ্ধ হন, অনেক সন্তানরা বাবা মাকে দেখলে বিরক্ত হন। আমরা ভেবে দেখি না তারা কত কষ্ট করে আমাদের বড় করেছেন। এই গল্প ৪০ বছরের বিবাহিত জীবন অতিক্রান্ত করা রাজ (অমিতাভ বচ্চন) এবং পুজার (হেমা মালিনি)। তাদের চার ছেলে নিজের নিজের সংসারে ব্যস্ত। যখন রাজ ও পূজা নিজের সন্তানদের বলেন তাদের দায়িত্ব নিতে, সন্তানদের উত্তরে বাবা মা হতাশ হন। এরপর তারা বাবা ও মাকে আলাদা করে দেখার প্রস্তাব দেন। এরপর তাদের জীবন বদলে দেয় তাদের মানুষ করা অনাথ এক শিশু আমন (সলমন খান)।
৯. পা (২০০৯)
অরো (অমিতাভ বচ্চন) এক বুদ্ধিমান ও দুরন্ত ১৩ বছরের শিশু যিনি এক দুরারোগ্য জেনেটিক ব্যাধির শিকার যেখানে বয়স বাড়ে খুব দ্রুত। অরোর মা বিদ্যা (বিদ্যা বালান) রাষ্ট্র বিজ্ঞানের ছাত্র অমল (অভিষেক বচ্চন) প্রেমে আবদ্ধ। অমল যেহেতু নেতা হতে চায় সে জানায় সে সন্তানের দায়িত্ব নিতে রাজী না। তখন গর্ভপাতের বিপরীতে গিয়ে সিদ্ধান্ত নেন একা সন্তান মানুষ করবে। পড়ে যদিও অমলের সঙ্গে আবার দেখা হয়। এখানে অরোর ভূমিকায় প্রতি মুহূর্তে দর্শকদের মন ছুঁয়েছেন অমিতাভ বচ্চন।
১০. হাম (১৯৯১)
বখতাবর (ড্যানি ডেনজংপা) ডকের মালিক এবং কর্মীদের সঙ্গে ক্রীতদাসের মত ব্যবহার করেন। এখানে টাইগার (অমিতাভ বচ্চন) সিদ্ধান্ত নেন এই অন্যায়ের প্রতিবাদ করার। এজন্য বখতাবর নিজের দেহরক্ষী তথা টাইগারের পিতাকে হত্যা করে। টাইগার মাথা ঠাণ্ডা রেখে নিজের ভাইদের নিয়ে সেখান থেকে পালায়। এরপর একে একে ভাইরা বড় হয় এবং বখতাবর জেল থেকে বেরিয়ে টাইগারের বিরুদ্ধে বদলার আগুনে জ্বলতে থাকে। এই নিয়েই গল্প।