ঘড়ির কাঁটা আর বয়স, সেক্সের সময়ে পল কেলির অঙ্ক মনে রাখুন
প্রেমিক-প্রেমিকা কিংবা স্বামী-স্ত্রীয়ের সম্পর্কে শরীর আসবেই। কারণ শরীর ছাড়া কোনও প্রেমই জমে না। বলা ভালো কিছুদিন পর সেই প্রেম তার গতিশীলতা হারায়। তাই বলে শরীরকে কিন্তু কখনই জোর করে আনা উচিত নয়। প্রাপ্ত বয়স্ক দুজনে সম্মত হলে তবেই প্রেমে শরীর আনুন।
দিনে রাতে আপনার যখন খুশি আপনি শারীরিক সম্পর্কে জড়াতে পারেন। ওসব তো আর তিথি নক্ষত্র মেনে হয় না। কিন্তু দিন-রাতের ঠিক কোন সময়ে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হলে আপনি ভালো ফল পাবেন, তা কিন্তু নির্ভর করে আপনার বয়সের ওপর। অন্তত শরীরতত্ত্ববিদরা সে কথাই বলছেন। কারণ শরীর নামক এই কারখানার সঙ্গে জড়িয়ে থাকে হরমোনের নানা খেলা। এক্ষেত্রে যৌন তৃপ্তিটা একটা বড় বিষয়। স্নায়ুতন্ত্রবিদ ড. পল কেলি যেমন বলেছেন, রাত ৩টে হলো তরুণদের জন্য উৎকৃষ্ট সময়। আবার ভোরবেলাও যৌন মিলনের জন্য উৎকৃষ্ট। তবে সেটাও কিন্তু তরুণদের জন্য। তারুণ্যের টগবগে গরম রক্ত যাঁরা পেরিয়ে এসেছেন তাঁদের জন্য নয়।
যাঁরা সদ্য ৪০ পেরিয়েছেন তাঁরা তরুণদের তুলনায় একটু আগেই ঘুম থেকে ওঠেন। যদিও তার পিছনে সাংসারিক এবং বৈবাহিক নানা কারণ থাকে। কিন্তু সকালের সূর্যের আলো গায়ে লাগালে তা কিন্তু বেশ উপকারেই আসে। শুধু যে ভিটামিন ডি তৈরি হয় তাই নয়, যৌন উত্তেজক হরমোনগুলিও এই সময়ে চাঙ্গা থাকে। এবং তা নারী-পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই। তাই যাঁরা ৪০ পেরিয়েছেন তাঁদের জন্য উৎকৃষ্ট সময় হল ৮.২০।
আবার যাঁরা ৪৫ পেরিয়েছেন তাঁদের মাঝরাতে ঘুম ভেঙে গেলে বেজায় ঝামেলা। শরীর খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সে কারণে যাঁরা ৪৫ পার করে ফেলেছেন তাঁদের রাত ১০ টা ২০ মিনিটে শারীরিক সম্পর্কে জড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন পল কেলি। আর যাদের বয়স ৫০ এর কোঠায় উঠে গিয়েছে, তাঁদের জন্য রাত ১০ টা শারীরিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে উপযুক্ত বলে মনে করেন তিনি। বারে বারে তিনি শরীর-স্বাস্থ্য এবং ঘুমের দিকে নজর দিয়েই এই কথাগুলি বলেছেন।