বিহার নির্বাচনঃ বিজেপি–র তালিকায় উচ্চবর্ণের প্রাধান্য
বিহার বিধানসভা নির্বাচনে উচ্চবর্ণের ভিত অটুট রাখাই বিজেপি–র প্রথম লক্ষ্য। তারপর হিসেব কষে ওবিসি, দলিতদের ভোটে ভাগ বসানোর চেষ্টা। দলের প্রার্থী তালিকায় সেই ইঙ্গিত। প্রাধান্য উচ্চবর্ণের। নজর রয়েছে কিছুটা যাদব ও দলিত ভোটে। বিহারে মুসলিম ভোটারদের সংখ্যাও অবশ্য কম নয়। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তাঁদের থেকে কোনও প্রার্থী দেয়নি বিজেপি।
২৪৩ আসনের বিহার বিধানসভার ভোট হবে তিন দফায়। জেডিইউ–বিজেপি আসন রফা সেরে ফেলেছে। ১২১টি বিজেপি–র হাতে, ১২২টি জেডিইউ–র। বিজেপি তাদের প্রথম দফার প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে আগেই। সেখানে উচ্চবর্ণের রমরমা। দ্বিতীয় দফায় ৩ নভেম্বর ৯৪টি আসনের ভোট। এ পর্যন্ত দ্বিতীয় পর্বের ৪৬ জন প্রার্থী তালিকা দিয়েছে বিজেপি। তাতেও আধিক্য উচ্চবর্ণের প্রার্থীদের। অধিকাংশ রাজপুত, ভূমিহার, ব্রাহ্মণ, কায়স্থ ও বৈশ্য প্রার্থী। শুধু এঁদের দিয়ে ভোট যুদ্ধে বাজিমাত করা কঠিন। দ্বিতীয় দফার ভোটে সাতজন দলিত প্রার্থী রয়েছে বিজেপি–র। আছে ওবিসি প্রার্থীও।
দ্বিতীয় পর্বের ৪৬টির মধ্যে পাঁচটি আসন বিকাশশীল ইনসান পার্টি (ভিআইপি)–র জন্য আলাদা করে রেখেছে বিজেপি। ভিআইপি প্রধান মুকেশ সাহানি এতদিন বিরোধীদের সঙ্গী ছিলেন। এক সপ্তাহ আগে এনডিএ শিবিরে ভিড়েছেন। তিন দফার ভোটে ১১টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে ভিআইপি। সেই আসন তাদের ছাড়ছে বিজেপি।
বিহারে এবার নতুন প্রার্থীদের ওপর ভরসা রাখছে বিজেপি। দ্বিতীয় দফায় যে–সব আসনে ভোট হবে তার মধ্যে ২০টিতে গতবার জয়ী হয়েছিল বিজেপি। অনেকে ভেবেছিলেন ওই সব জায়গায় পুরনো মুখ দেখা যাবে। তা হচ্ছে না। বিক্ষুব্ধরা কতটা ভোগাবেন, সময়ই বলবে। ভাগলপুরে তাঁর ছেলে অরিজিৎ শাশ্বতকে প্রার্থী করার জন্য দরবার করেছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনীকুমার চৌবে। ব্যর্থ হয়েছেন। সেখানে দলের জেলা শাখার প্রধান রাহুল পান্ডেকে প্রার্থী করছে বিজেপি।