তেজস্ক্রিয়তা থেকে বাঁচাবে গোবরের চিপ!
রাষ্ট্রীয় কামধেনু আয়োগের (Rashtriya Kamdhenu Aayog) চেয়ারম্যান বল্লভভাই কথিরিয়া (Vallabhbhai Kathiria)-র দাবি করেন, তেজস্ক্রিয়তা থেকে বাঁচাতে পারে বিশুদ্ধ গোবর। গোবরের মধ্যে সেই প্রতিরোধ ক্ষমতা রয়েছে। বিজ্ঞানসম্মত ভাবে এটা প্রমাণিত বলেও তিনি দাবি করেন।
কেনই বা তেজস্ক্রিয়তার প্রসঙ্গ উঠল, কেন তিনি হঠাত্ করে গোবরের গুণকীর্তন গাইতে শুরু করলেন, এ নিয়ে সংবাদিক মহলে জল্পনার সময় সকলকে চমক দিয়ে তিনি একটি চিপ তুলে ধরেন। রাষ্ট্রীয় কামধেনু আয়োগের চেয়ারম্যানের দাবি, চিপটি সম্পূর্ণ ভাবে বিশুদ্ধ গোবরে তৈরি। গোবরে পদ্ম হলে, বিজ্ঞানের দৌলত গোবরে চিপ তৈরি অসম্ভব নয়। কিন্তু, এই চিপের সঙ্গে তেজস্ক্রিয়তার সম্পর্ক কী?
বল্লভভাই কথিরিয়ার বক্তব্য অনুযায়ী, মোবাইল ফোনের তেজস্ক্রিয়তার হাত থেকে সুরক্ষা দিতে পারে এই চিপ। তাঁর কথায়, মোবাইল ফোনের তেজস্ক্রিয়তা রয়েছে। ফোনে কথা বলার সময় শরীরে তেজস্ক্রিয়তার ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে। কিন্তু, গোবরে প্রস্তুত চিপ ফোনে ব্যবহার করলে, সেই তেজস্ক্রিয়তা শরীরের বিশেষ ক্ষতি করতে পারবে না। ক্ষতিকর প্রভাব রুখে দেবে।
সাংবাদিক বৈঠকে গোবর মাহাত্ম্য শুনিয়ে কথিরিয়া বলেন, ‘গোবর আমাদের প্রত্যেককে রক্ষা করে। এটা তেজস্ক্রিয়তা প্রতিরোধী। বিজ্ঞানসম্মত ভাবে এটা প্রমাণিত। গোবরে তৈরি পণ্য বাড়িতে লাগলে, তা তেজস্ক্রিয়তার হাত থেকে গোটা বাড়িকে সুরক্ষা দেবে।’
একটি চিপ সামনে তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘আমার হাতে যে চিপটি আপনারা দেখছেন, এটি একটি রেডিয়েশন চিপ। এই চিপ আপনারা চাইলে নিজেদের মোবাইল ফোনে ব্যবহার করতে পারেন। গোবরে তৈরি এই চিপটি ফোনে লাগালে , আপনারা রোগের হাত থেকে সুরক্ষা পাবেন।’
রাষ্ট্রীয় কামধেনু আয়োগ হল কেন্দ্রীয় পশুপালন ও গবাদিপশু মন্ত্রকের অধীন একটি সংস্থা। ভারতের গবাদুপশু নিয়ে কাজ করে কেন্দ্রীয় এই সংস্থাটি। গোবরে তৈরি এই মোবাইল চিপের নাম দেওয়া হয়েছে ‘গৌসত্তা কবচ’। সোমবার নতুন ধরনের এই চিপটির আনুষ্ঠিক উদ্বোধন করেন বল্লভভাই। কাথিরিয়ার কথায়, ‘তেজস্ক্রিয়তা সংক্রান্ত অসুখের হাত থেকে রক্ষা পেতে চাইলে, গোবরে প্রস্তুত এই চিপ ফোনে ব্যবহার করা উচিত।’
জানা গিয়েছে, গুজরাতের একটি গৌশালা এই ‘গৌসত্তা কবচ’ বানিয়েছে। সাংবাদিক বৈঠকে অভিনেতা অক্ষয় কুমারের প্রসঙ্গও তোলেন রাষ্ট্রীয় কামধেনু আয়োগের চেয়ারম্যান। অক্ষয় কুমার সম্প্রতি দাবি করেন, গোমূত্রের শারীরিক উপকারিতা রয়েছে। সেই প্রসঙ্গ টেনে বল্লভভাই বলেন, অক্ষয় কুমার নিজেও গোমূত্র পান করেছেন।