এখনও সমান জনপ্রিয় দিদিকে বলো কর্মসূচি
লোকসভা নির্বাচনের পর মমতার মাস্টারস্ট্রোক ছিল দিদিকে বলো কর্মসূচি। এখানে উল্লেখ করা নম্বরকে ব্যবহার করে অভাব–অভিযোগ জানিয়েছিলেন নেতা–কর্মী থেকে সাধারণ মানুষ। উপকারও পেয়েছিলেন অনেকে। আর রিপোর্ট পেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং। তাও আবার গ্রাসরুট লেভেলের রিপোর্ট। যা দিদি জানতে চান। সম্প্রতি এই কর্মসূচির সক্রিয়তা কমেছে বলে খবর।
কিন্তু এই কর্মসূচির চাহিদা রয়েছে এখনও। দলীয় সূত্রে খবর, এখন দিদিকে বলো কর্মসূচি ততটা সক্রিয় নেই। তবে এখনও ওই ফোন নম্বর সক্রিয় থাকায় অনেক ফোন আসে সাহায্য চেয়ে। এই কর্মসূচি ফের শুরু করলে ভাল হয়।
এই পদক্ষেপ এতটা জনপ্রিয় হয়েছিল যে, হাসপাতালের বেড পাওয়ার সাহায্য চেয়েও ফোন আসত ওই নম্বরে। শিশু থেকে ক্যানসার রোগীর পরিবারও সরকারি সাহায্য পেয়েছেন ‘দিদিকে বলো’তে ফোন করে। কোথাও সরকারি প্রকল্পে অবহেলা বা কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হলে ভর্ৎসনা থেকে সাজা দলীয় কর্মীদের পাশাপাশি আমলারাও পেয়েছেন। তাই বহু মানুষের কাছে আজও এটার সমান গুরুত্ব রয়েছে।
জেলা নেতাদের একাংশ জানান, স্থানীয় নেতাদের দুর্নীতির কথা সরাসরি সরকারি আধিকারিক কিংবা দিদিকে বলবার সুযোগ থাকায় লোকসভা ভোটের পরে মানুষের সঙ্গে দলের ঘনিষ্ঠতা বেড়েছিল অনেকটা। আর এটা চালু রাখলে বা প্রচারের আলোয় আবার নিয়ে এলে বিধানসভা নির্বাচনে যথেষ্ট লাভবান হবে শাসকদল বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।