সুড়ঙ্গ থেকে উধাও সোনিয়া গান্ধীর নামের ফলক
মানালি থেকে লাহৌল–স্পিতিকে জুড়েছে সুড়ঙ্গটি। লাদাখ যাওয়ার সময় বাঁচিয়েছে পাঁচ ঘণ্টা। ৩ অক্টোবর সেই অটল সুড়ঙ্গে উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। তার আগে সুড়ঙ্গ থেকে উধাও সোনিয়া গান্ধীর নাম লেখা ফলক। সুড়ঙ্গটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন তিনিই।
এই নিয়ে হিমাচল প্রদেশে তীব্র প্রতিবাদ জানাল প্রদেশ কংগ্রেস। থানায় এফআইআর–ও করল। কংগ্রেস নেতাদের অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী ওই সুড়ঙ্গ উদ্বোধনের আগে সরানো হয়েছে সোনিয়ার নামের ফলক। বিক্ষোভের হুঁশিয়ারি দিয়ে হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুরকে চিঠি দিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি কুলদীপ সিং রাঠোর।
চিঠিতে তিনি লিখলেন, ‘ওই ফলক ফের বসানো না হলে রাজ্য জুড়ে বিক্ষোভ দেখাবে কংগ্রেস। এটা গণতন্ত্রবিরোধী, রীতিবিরুদ্ধ, বেআইনি পদক্ষেপ।’ কেলং এবং মানালিতে এই ঘটনায় এফআইআর করেছেন দুই দলীয় নেতা গিয়ালচেন ঠাকুর, হরিচাঁদ শর্মা।
২০১০ সালের ২৮ জুন মানালির ধুন্দিতে সুড়ঙ্গের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। এই সুড়ঙ্গ উদ্বোধনে এসে নাম না করে পূর্ববর্তী কংগ্রেস সরকারকে একহাত নেন মোদি। বলেন, কংগ্রেস যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন দেশের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্র অবহেলিত হয়েছে। এই সুড়ঙ্গ তৈরির সিদ্ধান্ত নেয় অটলবিহারী বাজপেয়ীর সরকার। ২০০০ সালের ৩ জুন। ২০১৯ সালে তাই সুড়ঙ্গের নাম অটলবিহারীর নামে রাখার সিদ্ধান্ত নেয় মোদি সরকার। ৩০০০ মিটার (১০ হাজার ফিট) উচ্চতায় তৈরি এই সুড়ঙ্গের দৈর্ঘ্য ৯.২ কিলোমিটার।