ভেন্টিলেশনে সৌমিত্র, বেলভিউ যাচ্ছেন মমতা
সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে দেখতে বেলভিউ যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে সেখানে চিকিৎসাধীন প্রবীণ অভিনেতা।
এখনও সামান্য জ্বর আছে সৌমিত্রের। কিন্তু সামগ্রিক ভাবে শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়নি। খারাপ কিছু পাওয়া যায়নি মস্তিষ্কের এমআরআই-তেও। মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত তেমনই খবর। হাসপাতাল সূত্রে বলা হয়েছে, সৌমিত্রর অবস্থা ‘আপাতত স্থিতিশীল’। তবে উদ্বেগ এখনও কাটেনি। প্রবীণ অভিনেতা পুরোপুরি সঙ্কটমুক্ত নন বলেই জানা গিয়েছে। দুপুরে তাঁকে ইনভেসিভ ভেন্টিলেশনে দেওয়ার ব্যাপারে চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে।
হাসপাতাল সূত্রের খবর, অশীতিপর সৌমিত্রের শরীরে সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের মাত্রা স্বাভাবিক নেই। তবে চিকিৎসকদের আশা, ওষুধের মাধ্যমে তা নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। এ দিন ইকো, ইসিজি এবং রক্তপরীক্ষা করা হতে পারে তাঁর। আরও এক বার এমআরআই-ও করা হতে পারে। কাল, বুধবার নতুন করে করোনা পরীক্ষাও করা হবে সৌমিত্রের। করোনায় সংক্রমিত সৌমিত্রকে গত মঙ্গলবার বেলভিউ নার্সিংহোমে ভর্তি করানো হয়। সেই থেকেই চিকিৎসাধীন তিনি। শুক্রবার তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। সোমবার হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছিল, সৌমিত্রের প্রস্টেটের পুরনো কর্কটরোগ ফিরে এসেছে। ছড়িয়ে পড়েছে ফুসফুস এবং মস্তিষ্কে। সংক্রমণ ঘটেছে মূত্রথলিতে। তবে দ্বিতীয় বার প্লাজমা থেরাপির পর খানিকটা হলেও উন্নতি লক্ষ্য করা গিয়েছে।
সোমবার রাতেই সৌমিত্রকে বাইপ্যাপ ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল। শ্বাসকষ্ট প্রবল না হলে রোগীকে সাধারণত বাইপ্যাপ বা নন ইনভেসিভ ভেন্টিলেশনে রাখা হয়। সে ক্ষেত্রে নাকে-মুখে মাস্ক লাগিয়ে বাড়তি চাপে অক্সিজেন-যুক্ত বাতাস পাঠানো হয় রোগীর ফুসফুসে। করোনা রোগীদের অনেকের ক্ষেত্রেই নন ইনভেসিভ ভেন্টিলেশন পদ্ধতি কাজ করেছে। সোমবার রাত থেকে সৌমিত্রকে সে ভাবেই রাখা হয়েছে বলে সূত্রের খবর। এই পদ্ধতিতে কাজ না হলে সরাসরি তাঁকে ‘ইনভেসিভ ভেন্টিলেটর’-এ রাখার কথা হচ্ছিল। যেখানে রোগীর শ্বাসপ্রশ্বাস পুরোপুরিই যন্ত্রনির্ভর। সকাল থেকে তার প্রয়োজন না পড়লেও দুপুরে সৌমিত্রকে ইনভেসিভ ভেন্টিলেটরে দেওয়ার চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, রাতে ঘুম হয়েছে তাঁর। তবে আচ্ছন্নতা ও অস্থিরতা এখনও রয়েছে।