৫০ বছরের জন্য রাজ্যগুলিকে ১২ হাজার কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে কেন্দ্র
লকডাউনের জেরে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্যগুলিকে ১২ হাজার কোটি টাকার ঋণ দেওয়া হচ্ছে। সোমবার এই ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। জিএসটি ক্ষতিপূরণ নিয়ে কেন্দ্র বনাম রাজ্যের টানাপোড়েনের মধ্যেই এই প্যাকেজ দেওয়া হচ্ছে ৫০ বছর মেয়াদের লোন হিসেবে। এই ঋণে কোনও সুদ নেবে না কেন্দ্র। ১২ হাজার কোটি টাকার মধ্যে আড়াই হাজার কোটি টাকা দেওয়া হবে হিমালয় পর্বত সংলগ্ন রাজ্যগুলিকে। সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হবে বাকি রাজ্যগুলিকে। আর ২ হাজার কোটি টাকা পৃথক করে রাখা থাকবে। এই টাকা থেকে লোন পাবে সেই রাজ্যগুলি, যারা কেন্দ্রীয় সরকার ঘোষিত আত্মনির্ভর প্যাকেজের মধ্যে অন্তত তিনটি সংস্কার কর্মসূচির যথাযথ প্রয়োগ করেছে নিজের রাজ্যে। সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকা রাজ্যগুলিকে দেওয়া হবে কেন্দ্রীয় ট্যাক্সের ভাগ যে ফর্মুলায় রাজ্যগুলি পায় ঠিক সেই মডেল মেনে। অর্থাৎ নির্দিষ্ট শতকরা হারে। এই শতাংশের হিসেব কার্যকর হলে, সাড়ে ৭ হাজার কোটি মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের প্রাপ্য দাঁড়াচ্ছে ৫২৫ কোটি টাকা।
তবে যেহেতু উত্তর পূর্বাঞ্চলের রাজ্য এবং হিমাচল ও উত্তরাখণ্ডকে বিশেষ প্যাকেজ আড়াই হাজার কোটি টাকার দেওয়া হচ্ছে, সেক্ষেত্রে রাজ্যগুলির প্রাপ্তির সামগ্রিক হিসেবটি কিছুটা বদলে যেতে পারে। সাধারণত, পশ্চিমবঙ্গ কেন্দ্রীয় ট্যাক্সের ৭.৫২ শতাংশ পেয়ে থাকে। এই টাকা রাজ্যগুলি নতুন কিংবা পুরনো প্রকল্পেও ব্যবহার করতে পারে। তবে শুধুমাত্র পরিকাঠামো উন্নয়নেই ব্যবহার করা যাবে, যাকে অর্থনীতির পরিভাষায় বলা হয় ক্যাপিটাল এক্সপেন্ডিচার। একইভাবে কেন্দ্রীয় সরকার পরিকাঠামো গঠনে বাজেট বরাদ্দের অতিরিক্ত ২৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করবে রাস্তা, জল সরবরাহ, প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম নির্মাণ সংক্রান্ত প্রকল্পে। স্বাভাবিকভাবেই এই টাকা পরিকাঠামোয় লগ্নি করা হলে গ্রাম ও শহরে নতুন নির্মাণ কাজের সৃষ্টি হবে। তৈরি হবে জীবিকা ও রোজগার। শুরু হবে আর্থিক লেনদেন। এই লেনদেন প্রত্যক্ষভাবে অর্থনীতিকেই সাহায্য করবে।