‘সৌমিত্র আর নেই’, সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়াল ভুয়ো খবর
সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় আর নেই। মঙ্গলবার দুপুর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ল এই খবর। খবর নয়, বলা ভালো গুজব। দেশ-বিদেশে থাকা অভিনেতার গুণগ্রাহীরা উৎকণ্ঠায় এদিক-ওদিক ফোন ঘোরালেন। কেউ কেউ জানতে পারলেন, এখনও লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন সৌমিত্রবাবু। কারও কারও কাছে তখনও বিষয়টি সত্য-মিথ্যার দ্বন্দ্ব।
হাতের মুঠোয় জগৎ। মুঠোফোনে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপে নিমিষেই ছড়িয়ে পড়ে যে কোনও খবর। ঠিক-ভুল যাচাই করার আগেই শেয়ার অথবা ফরোয়ার্ড করে দেওয়াই চল কিয়দংশ ব্যবহারকারীর। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় হাসপাতালে ভর্তি। তাঁর স্বাস্থ্যের সামান্য উন্নতিও হয়েছে। অথচ ভরদুপুরে হোয়াটসঅ্যাপের একাধিক গ্পুপ ও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ল, ‘ প্রয়াত বর্ষীয়ান অভিনেতা’। এমনকি বাদ পড়েনি চিকিৎসকদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপও! সৌমিত্রবাবুর ভক্ত থেকে চলচ্চিত্রের সঙ্গে যুক্ত বহু মানুষ তখন উৎকণ্ঠায়। ঠিক কী হয়েছে ফেলুদার? কেমন আছেন? টিভি চ্যানেলও খুলে ফেলেছেন। বিভিন্ন ওয়েবসাইটও সার্চ করেছেন। কেউ কেউ ফোন ঘুরিয়েছেন পরিচিতদের। সোশ্যাল মিডিয়ায় স্বাভাবিক নিয়মে অনেকেই সত্য-মিথ্যার ধার ধারেননি। সৌমিত্রবাবুকে শ্রদ্ধা জানিয়ে ছবি পোস্ট করে দেন। পরে অবশ্য মুছে দিয়েছেন।
এটা তো গেল গুজবের কথা। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের ছবিও সম্প্রচার করে সংবাদমাধ্যমের একাংশ। এক্সক্লুসিভ করে সম্প্রচার করা হয়। ঠিক যেমনটা হয়েছিল সুশান্ত সিং রাজপুতের ক্ষেত্রে। তাঁর মরদেহের ছবি দেখানো হয়েছিল সংবাদমাধ্যমে। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের এমন ছবি সম্প্রচার নিয়ে ফেসবুকে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন তাঁর মেয়ে পৌলমী বোস। তিনি লিখেছেন,”অত্যন্ত ব্যথিত ও দুঃখিত হয়েছি। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের আইসিইউ-তে থাকার ছবি ছড়ানো হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। দয়া করে ওঁর ব্যক্তিগত পরিসরকে সম্মান করুন।”