ডাক্তারবাবুদের নম্বর হাতের কাছে রাখুন, বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে নির্দেশ কমিশনের
পুজোর মধ্যে করোনা পরিস্থিতি সামলাতে বেসরকারি হাসপাতালগুলির বিভিন্ন বিভাগের সমস্ত ডাক্তারবাবুদের ফোন নম্বর হাতের কাছে রাখার নির্দেশ দিল রাজ্য স্বাস্থ্য কমিশন। যাতে বিপদে আপদে প্রয়োজন পড়লে তাঁরা বেড়াতে গেলেও যে কোনও সময় যোগাযোগ করা যায় বা খুব প্রয়োজনে চলে আসতে পারেন। বুধবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে শহরের কর্পোরেট হাসপাতালগুলির কাছে এই বার্তা রাখলেন রাজ্য স্বাস্থ্য কমিশনের চেয়ারম্যান অসীমকুমার বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি উৎসবের দিনগুলিতে করোনা সংক্রমণ হঠাৎ বাড়লে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অল্পবয়সি করোনাজয়ীদের কাজে লাগানোর জন্য বার্তা দিলেন কমিশন চেয়ারম্যান। বুধবার কমিশনের শীর্ষকর্তা জানান, বিশেষত চোখ, ত্বক বা প্লাস্টিক সার্জারির মতো বিভাগের ডাক্তাররা, যাঁদের করোনা আবহে ব্যস্ততা কম, তাঁদের পুজো পরিস্থিতিতে প্রয়োজন পড়তে পারে।
অসীমবাবু বলেন, শহরের সমস্ত প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসায় সুস্থ করোনা জয়ীদের ঠিকানা, ফোন নম্বরও একইভাবে আমরা যোগাড় করে রাখতে অনুরোধ করছি। বিশেষত, যাঁদের বয়স কম, তাঁদের যাতে পুজোর মধ্যে যে কোনও ধরনের আপৎকালীন পরিস্থিতিতে কাজে লাগানো যায়, সেজন্য এখন থেকে তৎপর হওয়া উচিত। কমিশনের তরফে এদিন জানানো হয়, যে কোনও প্রাইভেট হাসপাতালে রোগী ভর্তির সময়সীমা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সময়সীমা মেনে নয়, ২৪ ঘণ্টার হিসেব মেনে হবে। এদিন পারমিতা পোদ্দার নামে এক রোগিণীর চিকিৎসায় গাফিলতির জন্য সিএমআরআই হাসপাতালকে ২৫ হাজার টাকা, সুবোধ পাল নামে আসনসোলের বাসিন্দা এক রোগীর বাড়ির লোকজনের শুনানির পরিপ্রেক্ষিতে হেলথ ওয়ার্ল্ড নার্সিংহোমকে ২০ হাজার টাকা, ঝর্ণা বসু নামে এক রোগিণীর চিকিৎসায় গাফিলতিতে সল্টলেক আমরি হাসপাতালকে ৯১ হাজার টাকা, পেটের সমস্যার চিকিৎসা না করে হার্টের চিকিৎসা করায় কৃষ্ণকুমার গুপ্ত নামে রোগীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে হেলথ ওয়ার্ল্ডকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।