করোনামুক্ত ‘ফেলুদা’কে দেওয়া হচ্ছে মিউজিক থেরাপি
সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় তথা ‘ফেলুদা’কে নন কোভিড আটিইউতে স্থানান্তরিত করা হয়েছে৷ ফিজিওথেরাপি পাশাপাশি চলছে মিউজিক থেরাপি৷ গতকালের থেকে আজ বৃহস্পতিবার ভালো আছেন৷ এমনটাই হাসপাতাল সূত্রে খবর৷
বুধবার সন্ধ্যেবেলা বেলভিউ নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় বর্ষীয়ান অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় করোনামুক্ত৷ অর্থাৎ দ্বিতীয় বার করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে৷ হাসপাতাল সূত্রে খবর, ৮৫ বছরের সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় যেহেতু করোনামুক্ত,তাই তাকে নন কোভিড আটিইউতে স্থানান্তরিত করা হয়েছে৷
তার ফিজিওথেরাপি পাশাপাশি চলছে মিউজিক থেরাপিও৷ শারীরিক অবস্থা গতকালের থেকে ভালো৷ রাতে ঘুমিয়েছেন৷ চিকিৎসদের নির্দেশ মেনে চলছেন৷ ৩৬ ঘন্টায় তার জ্বর আসেনি৷ তার চিকিৎসায় ১৫ চিকিৎসকের একটি দল রয়েছেন৷
বুধবার সন্ধ্যেবেলায় সৌমিত্রবাবুর মেয়ে পৌলমী বোস জানিয়েছিলেন,বাবার অবস্থা আজকে আগের দিনের চেয়ে স্থিতিশীল। তিনি আগের দিনের থেকে আজকে ১% হলেও ভালো আছেন। এতেই আমি খুশি। সকল নেটিজেনদের প্রার্থনার জন্যও ধন্যবাদ দিয়েছেন তিনি।
বুধবার সকালে জানা গিয়েছিল, সংকটজনক অবস্থা থাকলেও স্থিতিশীল রয়েছেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। তবে শরীরে সোডিয়ামের মাত্রা বেশি রয়েছে বলে জানিয়েছিল হাসপাতাল। খুবই চিন্তায় ছিল তাঁর পরিবার। করোনায় সংক্রমিত হয়ে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে গত মঙ্গলবার বেলভিউ নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়।
শুক্রবার তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। এরপরে সোমবার হাসপাতালের তরফে জানানো হয়, তাঁর প্রস্টেটের পুরনো কর্কটরোগ ফিরে এসেছে। ছড়িয়ে পড়েছে ফুসফুস এবং মস্তিষ্কে। সংক্রমণ ঘটে মূত্রথলিতে। করোনা নিয়ে চিকিত্সকদের চিন্তা ছিল কোমর্বিডিটি।
তবে সেই রিপোর্ট এবার নেগেটিভ আসায় অনেকটা স্বস্তি মিলেছে চিকিৎসকদের ও পরিবারেরও। অন্যানা রিপোর্টও ভালো বলে খবর৷ বাংলা ও বাঙালির গর্ব, বাংলা চলচ্চিত্র জগতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় তথা ‘ফেলুদা’ ও ‘উদয়ণ পণ্ডিত’ এর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল৷
এর আগে ২০১৯ সালের ১৩ অগস্ট হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন এই বর্ষীয়ান অভিনেতা৷ শ্বাসকষ্ট হওয়ায় তাকে রুবিতে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল৷
তখন শ্বাসনালীতে সংক্রমণের পাশাপাশি রক্ত সোডিয়াম, পটাশিয়ামের মাত্রা কমে গিয়েছিল তার৷ নিউমোনিয়ায় ভুগছিলেন তিনি। ৭ সদস্যের এক মেডিক্যাল বোর্ডের পর্যবেক্ষণে তিনি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন৷ সেবারও তাকে আইসিইউ রেখে চিকিৎসা করতে হয়েছিল৷