পুজোর আনন্দেও সঙ্গে থাক সুরক্ষার হেলথ ডিভাইস
দুর্গা পুজোর পরিকল্পনা চলতে থাকে সারা বছর ধরে। এই পাঁচটা দিনের অপেক্ষায় হাপিত্যেশ করে বসে থাকে বাঙালি। এবছর সবটা পাল্টে গিয়েছে করোনা আবহে। মানুষকে তাই আগের তুলনায় অনেক বেশি সতর্ক হতে হবে।
তাই, এবার পুজোয় নতুন জামার পাশাপাশি সাথে রাখুন এই গ্যাজেটগুলিও।
ডিজিটাল ইনফ্রারেড ফোরহেড থার্মোমিটার গান: করোনা পরিস্থিতিতে এর প্রয়োজনীয়তা মোটামুটি সব জায়গাতেই। দাম এক হাজার থেকে দেড় হাজারের মধ্যে। অনলাইনে যেমন পাবেন, তেমনই এখন পাড়ার ওষুধের দোকানেও পাওয়া যায়।
কেনার সময়ে মূলত কয়েকটি বিষয় দেখতে হবে-
লেজার রে দিয়ে যেহেতু মাপা হয়, তাই তা ঠিকঠাক দেখে নিতে হবে;
- শরীরের তাপমাত্রা ডিসপ্লেতে পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে কিনা;
- তাপমাত্রা কতটা নির্ভুল ভাবে মাপছে;
- ০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে মোটামুটি ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত রেঞ্জে তাপমাত্রা মাপছে কিনা;
- হাল্কা ওজনের কি না;
- কতটা দূর থেকে মাপা যাচ্ছে। ভারতে কয়েকটি প্রচলিত ব্র্যান্ড- ডক্টর অডিন, ডক্টর ট্রাস্ট, এসএইচ – টিটু, সিকিওর। এগুলি অনলাইনে খোঁজ করলেই পাওয়া যাবে।
পোর্টেবল ওয়াটার পিউরিফায়ার: যাঁরা ঘুরতে ভালবাসেন, তাদের কাছে এটি পরিচিত গ্যাজেট।
বাকিরা কিনতে হলে কয়েকটা বিষয় দেখে নিতে হবে-
- ফিল্টার সহজে পাল্টানো যায় কিনা, এবং তা অনলাইন বা বাজারে সহজলভ্য কি না।
- ফিল্টারটি ৯৯.৯৯ শতাংশ জলবাহিত জীবাণু ও প্রটোজোয়া মুক্ত করে কিনা। কোনও ফিল্টারের গায়ে ১০০ শতাংশ লেখা থাকলে তা ভুয়ো দাবি।
- জলের দুর্গন্ধ, স্বাদ আর ক্লোরিন দূর করতে পারে কিনা
- হাল্কা কিনা
- জল বিশুদ্ধ করার সময়ে কোনও রাসায়নিক ব্যবহার করা হয় কি না?
- কতটা পরিমাণ জল বিশুদ্ধ করে, আর কত সময়ে ?
ভারতে কয়েকটি বেশি বিক্রিত ব্র্যান্ড- লাইফ স্ট্র গো ওয়াটার বোতল, ইউরেকা ফোর্বস অ্যাকোয়াগার্ড পার্সোনাল পিউরিফায়ার বোতল(এর দাম একটু বেশি), টাটা স্বচ্ছ ইনস্টাসিপ ইনস্ট্যান্ট পিউরিফায়ার বোতল।
পালস অক্সিমিটার: করোনাকালে এটি মানুষের কাছে খুব প্রয়োজনীয় হয়ে উঠেছে। আর সেই কারণেই নকল ও খারাপ যন্ত্র কিনে মানুষ প্রতারিত হচ্ছেন। প্রথমেই বলি এই যন্ত্রটি বেশ কয়েকটি নামী প্রস্তুতকারক ব্র্যান্ড ভারতেই বানাচ্ছেন, বা এনে দিচ্ছেন। যেমন- বিপিএল,ডক্টর মরপেন, ওমরন, রমসন,ম্যাসিমো ব্র্যান্ডগুলি খুব ভাল। ভাল মডেলের দাম ৭০০ থেকে ২৫০০ টাকার মধ্যে। মনে রাখবেন এটি আপনার রক্তে থাকা অক্সিজেনের পরিমাপ করে দেয়। তবে নির্ভুল ফলাফল দেয় কিনা, আর ব্যবহারকারীদের রেটিং কেমন,তা কেনার আগে গুগলে গিয়ে দেখে নেবেন।
গ্লুকোমিটার: এগুলি এখন ওষুধের দোকানেই পাওয়া যায়। তবে ব্যাটারি কী ধরনের আর কতটা নির্ভুল ফলাফল দেয়, সেটা দেখে নেবেন। ডিসপ্লে দেখে নেবেন, তা আপনি বুঝতে পারছেন কিনা। দাম মোটামুটি ৫০০ থেকে ৩০০০ টাকার মধ্যে। কয়েকটা বেশি বিক্রিত ব্র্যান্ড, আকু–চেক, ডক্টর ট্রাস্ট, ডক্টর মরপেন, ওয়ান টাচ প্রভৃতি।
তবে মনে রাখবেন একটি কথা, যন্ত্র কিন্তু চিকিৎসকের বিকল্প নয়, নির্দেশক মাত্র। ফলে শারীরিক কোনও অস্বাভাবিকতা দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতেই হবে। নিজের ডাক্তারি একেবারেই নিজে নিজে নয়।