জাঁকজমকহীন পুজো এবার রাজপুর-সোনারপুরে
থাকছে না থিমের লড়াই। বাহারি আলোর ঝলকানি দেখা যাবে না। করোনা আবহে জাঁকজমকহীনভাবেই এবার দেবী দুর্গার আরাধনার আয়োজন করছে রাজপুর-সোনারপুর পুর এলাকার বিভিন্ন পুজো কমিটি। সাধারণ মানুষের থেকে চাঁদা না নিয়ে ক্লাবের তহবিলের টাকায় এবার পুজো করছে অনেকেই। এছাড়া উদ্যোক্তাদের ভরসা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুদান।
৮০ বছরে পা দেওয়া গড়িয়ার নবদুর্গা এবার দর্শনার্থীদের প্রতিমা দর্শনের জন্য মণ্ডপের মাপ অনেকটাই বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফলে দূর থেকেই প্রতিমা দেখার সুযোগ থাকছে। পুজো কমিটির আহ্বায়ক অভ্র মুখোপাধ্যায়ের কথায়, ‘সরকারি নিয়ম মেনে চারদিক খোলা থাকবে। ফলে সব দিক দিয়েই প্রতিমা দেখা যাবে।’ এক সময় ৮৫ লক্ষ টাকার বাজেটের পুজো করত তারা। করোনাকালে সেই বাজেট নেমে এসেছে ১০ লক্ষ টাকায়। তাই থিম ছেড়ে সাবেকিয়ানাই ভরসা। রাজপুর নবারুণ সঙ্ঘও একই পথের পথিক। গতবার এই পুজোর বাজেট ছিল প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা। কিন্তু করোনাসুরের প্রভাবে এবার তা কমে এসেছে ৬ লক্ষয়। ৬৭ বছর অতিক্রম করা এই পুজো কমিটি এবার চন্দননগর এবং হাওড়া থেকে আলো আনছে না। সরকারি বিধি-নিষেধ মেনে দর্শনার্থীদের প্রতিমা দর্শন করার ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন সম্পাদক সঞ্জীব সরকার। শতবর্ষ পূর্তিতে মাতৃ আরাধনাকে কেন্দ্র করে একাধিক পরিকল্পনা ছিল কামরাবাদ তরুণ সঙ্ঘের। করোনার জন্য সেই সব ভাবনাকে বিসর্জন দিতে হয়েছে।
জাঁকজমকহীনভাবেই এবার পুজো হবে। অন্যতম উদ্যোক্তা সুব্রত দত্তের কথায়, ‘অন্যান্যবারের তুলনায় বাজেট এবার এক-চতুর্থাংশ। তাই অনেক কিছুই করা সম্ভব হচ্ছে না। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে, ১০১তম বর্ষে দর্শকদের তাক লাগিয়ে দেব আমরা।’ থিমের পুজো না করলেও, পরিবেশবান্ধব সামগ্রী দিয়ে মণ্ডপ এবং প্রতিমা সাজানো চলছে নরেন্দ্রপুরের এলাচি রামচন্দ্রপুর মিলন সঙ্ঘের পুজোয়। অন্যান্যদের মতো এই পুজো কমিটির বাজেটও কাঁটছাট হয়েছে। কমিটির সম্পাদক সঞ্জয় সেনগুপ্ত বলেন, ‘যাবতীয় সুরক্ষা বিধি মেনে দর্শনার্থীদের মণ্ডপে প্রবেশ করানো হবে। বাহারি আলোর প্রদর্শনী এবার থাকছে না।’ মহামায়াতলার মহামিলনীর পুজো ৬৫ বছরে পদার্পণ করল। জাঁকজমক ছেড়ে সাবেকি পুজোর উপর জোর দিচ্ছে তারা। ভিড় এড়াতে ১০ জন করে মণ্ডপে প্রবেশ করার অনুমতি দেওয়া হবে।