দক্ষিণবঙ্গ বিভাগে ফিরে যান

পুজোর আগে ধাত্রীগ্রাম ও পূর্বস্থলীর তাঁত হাটে বাড়ল বিক্রি

October 16, 2020 | 2 min read

করোনা পরিস্থিতিতে বাজার মন্দা হলেও পুজোর মুখে বাড়ছে শাড়ির চাহিদা। কালনার ধাত্রীগ্রাম ও পূর্বস্থলীর শ্রীরামপুর এলাকায় তাঁতের হাটে বিক্রি বেড়েছে কয়েক গুণ। বুধ ও শনিবার কালনা ধাত্রীগ্রাম এবং শ্রীরামপুর তাঁতের হাটে ২৬ লক্ষের বেশি টাকার শাড়ি বিক্রি হয়েছে। দেরিতে হলেও শাড়ির চাহিদা বাড়ায় খুশি তাঁতশিল্পীরা।

বর্ধমান জেলার কালনা মহকুমার ধাত্রীগ্রাম ও সমুদ্রগড় তাঁত সমৃদ্ধ এলাকা। অধিকাংশ মানুষ তাঁতশিল্পের সঙ্গে জড়িত। বর্তমান সরকার আসার পর মুখ্যমন্ত্রী তাঁত শিল্পীদের নানা প্রকল্পের আওতায় নিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে ধাত্রীগ্রাম ও পূর্বস্থলীর শ্রীরামপুর এলাকায় দুটি তাঁতের হাট গড়ে ওঠে। তাঁতশিল্পীরা সরাসরি সেখানে শাড়ি বিক্রি করতে পারেন। দুটি হাটে একই ছাদের তলায় প্রায় ৩০০ তাঁতশিল্পী বসে শাড়ি বিক্রি করতে পারেন। করোনা পরিস্থিতিতে তাঁতশিল্পে মন্দা দেখা দিলেও এবার পুজোর অনেক আগে থেকে তন্তুজ ধাত্রীগ্রাম হাটে ক্যাম্প করে সরাসরি তাঁতি শিল্পীদের কাছ থেকে শাড়ি কেনে। করোনা পরিস্থিতিতে শাড়ির বাজারে মন্দা দেখা দিলেও সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ থেকে বাজার উঠতে শুরু করেছে।

কালনার হ্যান্ডলুম আধিকারিক পলাশ পাল বলেন, বুধ ও শনিবার ধাত্রীগ্রাম হাটে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকার শাড়ি বিক্রি হয়েছে। শ্রীরামপুর হাটে দু’দিনে বিক্রি হয়েছে সাড়ে ১১ লক্ষ টাকার শাড়ি। আগামীদিনে আরও বিক্রি বাড়বে বলে তিনি মনে করেন।

তন্তুজের চেয়ারম্যান তথা মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে স্বাস্থ্যবিধি মেনে হাট চালু হওয়ায় ধীরে ধীরে শাড়ি বিক্রি অনেক বেড়েছে। উপকৃত হচ্ছেন তাঁতশিল্পীরা। হাটগুলিতে দূর দূরান্ত থেকে ব্যবসায়ীরা শাড়ি কিনতে আসছেন। তেমনই খুচরো বিক্রিও হচ্ছে যথেষ্ট। তাঁতশিল্পীরা অনেক সময় মহাজনের কাছে শাড়ি বিক্রি করতে বাধ্য হন। দাম তেমন পান না। হাটে সরাসরি ক্রেতার হাতে শাড়ি বিক্রি করতে পারায় তাঁতশিল্পী বেশি লাভবান হচ্ছেন।

তাঁতশিল্পী কালিদাস বসাক বলেন, শনিবার আমি ২০টি শাড়ি নিয়ে হাটে গিয়েছিলাম। সব শাড়ি বিক্রি হয়ে গিয়েছে। ভালো দাম পেয়েছি। বাজার এতটা ভালো হবে ভাবতে পারিনি। অন্যান্য তাঁত শিল্পী গোপাল বসাক, জগদীশ বসাকরাও একই দাবি করেন। প্রত্যেকেই ওইদিন কেউ ২০টি, কেউ ৩০টি শাড়ি বিক্রি করেছেন। তবে তাঁত শিল্পীরা মনে করছেন, ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হলে বিক্রি আরও অনেক বেড়ে যেত।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Durga Puja 2020, #Tant markets

আরো দেখুন