রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশন ইতিহাস তৈরী করল

October 17, 2020 | 2 min read

ছবি সৌজন্যেঃ outlookindia.com

৩৭ বছরের একজন মহিলা, ছোটবেলায়, ২৩বছর আগে কালিম্পংর বাড়িতে তাঁর গৃহশিক্ষকের হাতে দিনের পর দিন যৌন নির্যাতনের শিকার হতেন।

সেই সময় না শিশু সুরক্ষা আইন (POCSO) ছিল, না কমিশন ছিল।

দীর্ঘ এই আতঙ্ক ওঁনাকে একজন আইনজীবী হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরেও তাড়া করে বেড়াত। গত বছর এই নির্যাতিতা রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের কাছে তাঁর শৈশব নষ্ট করে দেওয়া এই ঘটনার একটি নিষ্পত্তি /closure চেয়ে চিঠি পাঠান।

শিশু সুরক্ষা কমিশনের হস্তক্ষেপে দার্জিলিং জেলার পুলিশ সুপারের নেতৃত্ব এই বিষয়ের তদন্ত শুরু করেন পুলিশ।

তদন্ত নেমে দেখা যায় অভিযুক্ত ব্যক্তি এখনো শিশুদের যৌন নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছেন। বর্তমানে তিনি স্কুল শিক্ষক। এবং এ যাবৎ কালে তিনি ২০ র অধিক স্কুল বদলেছেন । প্রতিটা স্কুলেই , তদন্তে ওই ৩৭ বছরের অভিযোগকারিণীর মতো অনেক শিশু এই সময়ে ও একই রকম , কিছু কিছু ক্ষেত্রে আরো ভয়ঙ্কর যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে এবং হচ্ছে।

এতগুলি শিশুর উপর যৌন নির্যাতনের তথ্য প্রমাণ যখন জেরায় অভিযুক্তর কাছে পেশ করা হয়, তখন অভিযুক্ত স্বীকার করেন তাঁর এই দীর্ঘমেয়াদি শিশুদের যৌন নির্যাতনের অপরাধ।

একজন মহিলা আইনজীবী, তিন দশক পরেও তাঁর নষ্ট হয়ে যাওয়া শৈশব র যন্ত্রণা ভুলতে না পারার কষ্ট থেকে যে পদক্ষেপ নেন, West Bengal Commission for Protection of Child Rights র প্রচেষ্টায় এই লড়াই আজ শিশুদের উপর যৌন নির্যাতনের বিরুদ্ধে একটি মাইলফলক তৈরী করল।

প্রসঙ্গত, Prevention of Children from Sexual Offence Act বা পকসো কিন্তু শিশু নির্যাতনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করার ক্ষেত্রে কোনো সময় সীমা বেঁধে দেয় নি। তার একটা বড় কারণ অনেক ক্ষেত্রেই শিশুরা এই ক্ষতর কথা বলতে , বোঝাতে তৎক্ষনাত সক্রিয় হতে পারে না, বড়োদের মত।

মনস্তাত্ত্বিক ভাবে দেখা যায়, এই ক্ষত সারাতে না পারায় যৌন হেনস্থায় আক্রান্ত শিশু দের সারা জীবন এই কষ্ট বয়ে বেড়াতে হয়।

এই কেস টি একটি নিদর্শন তৈরী করল যে চাইলে ৩৭ বছর পরেও চেষ্টা করা যেতে পারে নিজের জীবনের সবথেকে কষ্টদায়ক ক্ষত কে মেরামত করার। আর তা করতে গিয়ে হয়তো বাঁচিয়ে দেবেন আরো কত শিশুদের!

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#security, #WestBengal, #children, #Pocso

আরো দেখুন