দেশের ৩০ কোটি মানুষ পাবেন করোনার প্রতিষেধক
করোনা টিকা বাজারে আসেনি এখনও। কিন্তু ভারতে ইতমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে টিকা বিতরণের রূপরেখা তৈরির কাজ। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রের খবর, ‘বিপদসীমার’ মধ্যে থাকা প্রায় ৩০ কোটি মানুষকে কোভিড-১৯ টিকা প্রদানের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। এর জন্য প্রয়োজন হবে করোনা প্রতিষেধকের প্রায় ৬০ কোটি ডোজ।
স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রের খবর, অগ্রাধিকার প্রাপ্তদের তালিকায় রয়েছেন ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ, পুরসভা-পঞ্চায়েত এবং অত্যাবশকীয় সরকারি পরিষেবায় যুক্ত কর্মীরা। সব মিলিয়ে প্রায় রয়েছেন তিন কোটি মানুষ। এ ছাড়া ৫০ বছর বা তার বেশি বয়সি প্রায় ২৬ কোটি এবং কো-মর্বিডিটি যুক্ত বিভিন্ন বয়সের কয়েক কোটি ব্যক্তিও রয়েছেন অগ্রাধিকারের তালিকায়।
ভারতে করোনা টিকা প্রস্তুত করতে অন্তত সাতটি পৃথক গবেষণা চলছে। ভারত বায়োটেক, সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া, জাইডাস ক্যাডিলা, প্যানাসিয়া বায়োটেক, ইন্ডিয়ান ইমিউনোলজিক্যালস, মাইনভ্যাক্স অ্যান্ড বায়োলজিক্যাল-ই-র মতো সংস্থা এই উদ্দেশ্যে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান ‘ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর মেডিক্যাল রিসার্চ’ (আইসিএমআর)-এর সহায়তায় ভারত বায়োটেকের তৈরি সম্ভাব্য করোনা টিকা কোভ্যাক্সিনের মানবদেহে ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল হয়েছে দিল্লির ‘এমস’-এ।
পাশাপাশি, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও সুইডিশ সংস্থা অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি সম্ভাব্য করোনা-প্রতিষেধক কোভিশিল্ডের ভারতে ‘হিউম্যান ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল’ চলছে পুণের সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়ায় তত্ত্বাবধানে। সূত্রের খবর, বর্তমানে পরীক্ষায় তৃতীয় স্তর চলছে। ডিসেম্বরের মধ্যে চূড়ান্ত ফল মেলার আশা রয়েছে। অন্য একটি সংস্থাও সম্প্রতি মানবদেহে করোনা প্রতিষেধক পরীক্ষার ছাড়পত্র পেয়েছে।