ফের শহরের বহুতলে বিধ্বংসী আগুন
ফের শহরের বহুতলে বিধ্বংসী আগুন। মৃত্যু হল দু’জনের। এক কিশোর আতঙ্কে নীচে ঝাঁপ দিয়েছিল। হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। আরও এক সত্তরোর্ধ্ব বৃদ্ধা বাথরুমে আটকে পড়েছিলেন। শ্বাসকষ্টে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিক অনুমান। শুক্রবার রাত সাড়ে দশটা নাগাদ ২১ নম্বর গণেশচন্দ্র অ্যাভিনিউয়ের ওই বহুতলে আগুন লাগে। অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে প্রথমে দমকলের ৬টি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। পরে আরও ৪টি ইঞ্জিন এবং হাইড্রোলিক ল্যাডার নিয়ে আসা হয়। দমকলের পাশাপাশি আগুন নেভাতে ও উদ্ধারকাজ চালাতে নামে কলকাতা পুলিসের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও। পরে ঘটনাস্থলে যান দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। প্রাথমিক অনুমান, শর্ট সার্কিট থেকেই এই বিপর্যয় ঘটেছে।
দমকল সূত্রে খবর, প্রথমে বহুতলটির একদম নীচের তলায় আগুন লাগে। সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে যায় একটি মিটারবক্স। সম্ভবত সেখান থেকেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে বলে অনুমান করা হচ্ছে। ধীরে ধীরে আগুন সাততলায় ছড়াতে থাকে। তখনই আতঙ্কে ১৪ বছরের এক কিশোর নীচে ঝাঁপ দেয়। তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। ধোঁয়ার মধ্যে আটকে পড়ার কারণে কয়েকজনের শ্বাসকষ্টের সমস্যা দেখা দিয়েছিল। তাঁদেরও হাসপাতালে পাঠানো হয়। আটকে পড়া বাসিন্দাদের উদ্ধারে কিছুটা বেগ পেতে হয় দমকলকে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই বহুতলে ৫০টিরও বেশি পরিবার থাকে। বাড়িটিতে কোনও অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল না বলেই দমকল সূত্রে জানা গিয়েছে। গভীর রাত পর্যন্ত ৫৫ মিটার উঁচু হাইড্রোলিক ল্যাডার দিয়ে দ্রুত আগুন নেভানোর চেষ্টা চলে।