উত্তরবঙ্গ বিভাগে ফিরে যান

দক্ষিণ দিনাজপুরে তৃণমূল থেকে বহিষ্কৃত তিন নেতা

October 18, 2020 | 2 min read

দক্ষিণ দিনাজপুরের তিন নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার করল তৃণমূল। প্রাক্তন দুই কার্যকরী সভাপতি সোনা পাল ও দেবাশিস মজুমদার এবং জেলা নেতা সুনির্মলজ্যোতি বিশ্বাসকে শনিবার দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে জানালেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি গৌতম দাস। 

এ নিয়ে সোনা অবশ্য স্পষ্ট বলেন, ‘‘আমাদের ছাড়া জেলায় তৃণমূল চলবে না। আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শে দল করি। এদের বহিষ্কার মানি না। বিষয়টা রাজ্য নেতৃত্বকে জানাব।’’ দেবাশিস ওরফে দেবা জানান, ‘‘আমাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে বহিষ্কার করা হল। এখন যাঁরা জেলায় দল চালাচ্ছেন তাঁরা খাতায় কলমে তৃণমূলও নয়। আমি শো-কজ়ের জবাবেও লিখেছি, এঁদের নেতৃত্বে আমি দল করব না।’’ আর কুশমণ্ডির নেতা সুনির্মলের দাবি, ‘‘জেলা সভাপতি গৌতম দাসের নামে মানহানির মামলা করব।’’ অর্পিতা ঘোষ জেলা সভাপতি থাকার সময়ে সোনা ও দেবাকে কার্যকরী সভাপতি করা হয়েছিল। পাশাপাশি জেলা পরিষদের মেন্টরও ছিলেন হরিরামপুরের ডাকসাইটে নেতা সোনা। অন্য দিকে আইনজীবী নেতা দেবা ছিলেন সিডব্লিউসির চেয়ারম্যান। এক মাস আগেই দল বিরোধী কাজ ও দুর্নীতির অভিযোগে তাঁদের শো কজ় করা হয়।

সুনির্মলের স্ত্রী সুনন্দা বিশ্বাস আবার কুশমণ্ডি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি। আর সোনার মেয়ে অলিভিয়া পাল মহিলা তৃণমূলের নেত্রী। তাঁদেরও কি বহিষ্কার করা হবে?  গৌতম বলেন, ‘‘ওঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ নেই। তাই তাঁরা যেমন আছেন থাকবেন।’’

এই তিন জনের সঙ্গেই কুমারগঞ্জের যুব নেতা অভিষেক গুহকেও একই অভিযোগে শো কজ় করা হয়েছিল। তাঁকে যুব তৃণমূলের জেলার সহ-সভাপতি করা হয়েছে। যা নিয়ে বহিষ্কৃত তিন নেতার প্রশ্ন, ‘‘একই অভিযোগে আমাদের বহিষ্কার করা হলে, অভিষেকের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়া হল না?’’ জেলা সভাপতি গৌতম বলেন, ‘‘অভিষেকের জবাব সন্তোষজনক হলেও এই তিন জন যথাযথ উত্তর দেননি, তাই বহিষ্কার করা হয়েছে। দলের ভালর জন্যই শীর্ষ নেতৃত্ব এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’’

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#North Bengal, #tmc

আরো দেখুন