এবার পুজোয় সঙ্গী হোক হাতে বোনা শাড়ি
এ বারের দুর্গা পুজো একেবারে অন্য রকম। তাই পুজোয় চাই অন্য রকম সাজ। তবে রোজকার জিন্স-টপ-কুর্তি-সালোয়ারের বাইরে একেবারে আলাদা কিছু পুজোতে যেমন পরতে হবে, তেমনই মাথায় রাখতে হবে করোনা সংক্রমণের কথাও। তাই শাড়ি, বিশেষ করে সুতির হাতে বোনা শাড়ি এ বার পুজোর ফ্যাশনে ইন, এমনই বলছেন ডিজাইনাররা।
কারণ সুতির শাড়ি হালকা হলেই তা বাড়িতে এসে কেচে দেওয়া যাবে হালকা সাবান জলে। সে ক্ষেত্রে সংক্রমণ সংক্রান্ত ভয় থাকবে না। লাল-সাদা বুটি, জামদানি, চেকস শাড়ির কোনও জুড়ি নেই। তাঁতের শাড়িও পরা যেতে পারে। তেলিয়া কটন পরতে পারেন।
তাঁতের শাড়ির এখনও আলাদা কদর, এমনটাই বলছেন ডিজাইনাররা। বেনারসি, বালুচরি, ঢাকাই, কাঁথা স্টিচ, মণিপুরী জুট সিল্ক, ঘিচা সিল্কের পাশাপাশি বাজার মাতাতে পারে সাবেক সুতির শাড়িও। এ ছাড়াও কদর রয়েছে বাংলার শান্তিপুরি, বেগমপুরি, ধনেখালি, টাঙ্গাইল, অন্ধ্রপ্রদেশের তেলিয়া, ইক্কত, জয়পুরের হ্যান্ড ব্লক প্রিন্টেড শাড়ি, ঝাড়খণ্ডের তসর ও মটকা, জয়পুর- গুজরাতের ছাপা শাড়ি, চেন্নাইয়ের চেট্টিনাড়, কলমকারি ও চান্দেরি শাড়িরও। তবে সিল্কের শাড়ি এ বারের পুজোর ফ্যাশনে ইন না হতেও পারে। লকডাউনে তাঁতিদের অনেকেই বিপুল ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। তাই সুতির শাড়িতে গুরুত্ব দিয়েছেন তাঁরাও, এমনই বলছেন ডিজাইনাররা।
অনেকেই সাবেকের মধ্যে ফ্যাশন খুঁজছেন করোনা আবহেও। রঙিন সুতোর কাজ চাইছেন। এক কথায় শাড়িতে ইউনিক লুক চাইছেন। তাঁদের কথা মাথায় রেখেই হাতে বোনা শাড়ি যা সহজেই কেচে ফেলা যায় বাড়িতেই, এমন কিছু পরতে বলছেন ফ্যাশন ডিজাইনাররা। বাঙালির পুজোর চিরাচরিত সংস্কৃতি মাথায় রেখেই শাড়ি তো পুজোতে পরবেনই। তবে করোনা আবহে বাইরে বেরলে সে শাড়ি হবে হালকা, কম ওজনের, সহজেই ধুয়ে নেওয়া যায় এমন। তাই শুধু সুতির শাড়ি নয়, ক্রেপ বা শিফনও কিন্তু পুজোয় জায়গা করে নিতে পারে, এমনই জানান শহরের ডিজাইনার, সাহানা বুটিকের কর্ণধার পারমিতা।
মেডিসিনের চিকিৎসকরা এই প্রসঙ্গে বলেন, “পুজোতে ভিড় এড়িয়ে চলাই ভাল। তবে বাইরে বেরোলে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। ঢাকা পোশাক পরলে সবচেয়ে ভাল।” পুজোর সময় হাতে বোনা সুতির শাড়ি, ঢাকাই, চান্দেরি, মলমল শাড়িতেই হয়ে উঠতে পারেন অনন্যা, একেবারে পকেটমানির খরচেও সুতির শাড়ি পেতে পারেন। তাই সাবধানে থাকুন, ফ্যাশনে থাকুন। শাড়িতেই মাতিয়ে দিন এ বছরের নিউ নর্ম্যাল পুজো।