শীঘ্রই আসছে করোনা পরীক্ষার যন্ত্র
পুজোর পর করোনা সংক্রমণ কয়েক গুণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। নমুনা পরীক্ষারও প্রয়োজন হবে কয়েক গুণ বেশি। এর মধ্যে আশার কথা, ‘ন্যাশনাল ভাইরাল হেপাটাইটিস কন্ট্রোল প্রোগ্রাম’-এ ‘ফুল আটোমেটেড জায়ান্ট আরটিপিসিআর’ যন্ত্র আসছে এই ভিআরডিএল-এ। এতে লালারসের এক এক বারে ৯-১০ ঘণ্টায় চার হাজার নমুনা পরীক্ষা করা যাবে। একই সঙ্গে রোগীর ভাইরাল লোড নিয়েও তথ্য মিলবে। হেপাটাইটিসের পরিবর্তে এখন করোনা নিয়ন্ত্রণেই এই যন্ত্রই কাজে লাগবে বলে মনে করছেন ল্যারেটরি কর্তৃপক্ষ।
ভিআরডিএল-এর দায়িত্বে থাকা আধিকারিক অরুণাভ সরকার বলেন, ‘‘লালারসের নমুনা মেশিনে দিলেই হল। ভাইরাস চিহ্নিতকরণের যাবতীয় পক্রিয়া সংক্রিয় ভাবে মেশিন করে দেবে।’’ এখন যে আরটিপিসিআর যন্ত্রে নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে, সেখানে নমুনাগুলির আরএনএ এক্সট্রাকশন আলাদা ভাবে করতে হয়। অ্যাপ্লিফিকেশন করে ভাইরাস চিহ্নিতকরণ করতে পিসিআর যন্ত্রে নমুনা বসাতে হয়। নতুন যন্ত্রে সমস্ত কাজ মেশিনই করে দেবে।
সূত্রের খবর, মেশিন পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আগামী সপ্তাহেই এই মেশিন এসে পৌঁছনোর কথা। এখন তিনটি আরটিপিসিআর এবং অটোমেটেড আরএনএ এক্সট্রাক্টর যন্ত্র রয়েছে। এ ছাড়া ট্রুন্যাট এবং সিবি ন্যাট যন্ত্র রয়েছে একাধিক। তা দিয়ে দিনে আড়াই হাজারের মতো নমুনা পরীক্ষা সম্ভব। বর্তমানে প্রয়োজন মতো কখনও ১২০০ কখনও ১৮০০ নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। নতুন যন্ত্রটি এলে অনেক বেশি নমুনা পরীক্ষা সম্ভব হবে বলে মনে করা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা জানান, বর্তমান আটিপিসিআর যন্ত্রের মতো ৪টি যোগ করলে যা হবে, সেই পরিমাণ নমুনা পরীক্ষার ক্ষমতা সম্পন্ন রয়েছে নতুন যন্ত্রটিতে।
ল্যাবরেটরি সূত্রে জানা গিয়েছে, যন্ত্রাংশটি ‘কোব্যাস ৬৮০০’ নামে পরিচিত। হেপাটাইটিস বি এবং হেপাটাইটিস সি নিয়ন্ত্রণের জন্য এই যন্ত্র দেওয়া হচ্ছে। তবে এখন করোনার জন্যই এটি ব্যবহার যন্ত্রটির দাম দেড় কোটি টাকার উপরে। চিকিৎসকদের একাংশ বলেন, ‘‘নতুন যন্ত্রে বেশি নমুনা পরীক্ষা করা যাবে ঠিকই, কিন্তু রোগীর সংখ্যা বাড়লে হাসপাতালে শয্যা দেওয়াই মুশকিল হয়ে যাবে।’’