পারম্পরিক শাড়িতে নজর কাড়বেন আপনিই
শাড়ি নারীর চিরন্তন পোশাক এ কথা অনায়াসে বলা যায়। এ বছরের কোভিড অতিমারির সঙ্গে লড়তে লড়তে ক্লান্ত মেয়েরা পুজোয় প্যান্ডেলে যাক বা না যাক, শাড়ির সঙ্গে তাঁদের চিরকালীন বন্ধুতা।
কিশোরী থেকে তরুণী সকলেই পুজোর একটা দিন শাড়ি পরতে চান। এ বারের অন্যরকম পুজোয় বারান্দায় পায়চারি করার জন্যেও শাড়ি চাই। হালকা শাড়ির সঙ্গে ডিজাইনার ব্লাউজ কিংবা অন্য ড্রেপিং করে শাড়ি পরে ভিড়ের মাঝে স্বতন্ত্র থাকা যায়।
মারাঠিদের মতো করে কাছা দিয়ে অথবা খাসি স্টাইলে দুদিকের কাঁধে ব্রোচ লাগিয়ে অন্য স্টাইলে শাড়ি পরলেও দারুণ ভাল লাগবে। ইতিহাস বলছে ভারতেই প্রথম তুলোর চাষ হয়েছে। সেই তুলো থেকে সুতো বানিয়ে উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব, পশ্চিম সব জায়গাতে স্থানীয় বস্ত্রশিল্পীরা তাঁদের নিজস্ব ঘরানার শাড়ি বানান।
সাদা সুতো রাঙিয়ে তোলেন হরিতকী, ইন্ডিগো বা নীল গাছের থেকে পাওয়া রঙে। আর সবার প্রিয় রং লাল তো আছেই। রঙবেরঙের জেল্লাদার নানা বুননের শাড়ির ঐতিহ্যকে সবার কাছে পৌঁছে দিতে উদ্যোগী হয়েছেন শাড়ি গবেষক এক শিল্পী। বিগত কয়েক বছর ধরে তিনি নিতান্তই নিজের শখ পূরণে ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রান্তের তাঁতিদের ঘরে পৌঁছে গিয়ে নিজের মন পসন্দ শাড়ি খুঁজে বাড়াতেন। সেই নেশাকেই পেশায় পরিণত করলেন বছর পাঁচেক আগে।
নিজস্ব ঘরানার হাতে বোনা শাড়ির সম্ভার নিয়ে গড়ে তুললেন স্বপ্নের বুটিক ইন্ডিয়া-লুমস। ওড়িশার সম্বলপুর, কটক থেকে কেরল, মণিপুর, লাভপুর, অসম মায় বাংলাদেশের তাঁতি পাড়ায় অবাধ বিচরণ ইন্দ্রাণীর। তেলিয়া কটন থেকে শুরু করে গাদওয়াল, চান্দেরি, মাহেশ্বরী, হাতে বোনা মখমলি কাঞ্জিভরম, ইক্কত, তসর, সিল্ক, তাঁত, রেশম, কী নেই ইন্ডিয়া-লুমসের সম্ভারে! এখানকার প্রতিটি শাড়িই এক্সক্লুসিভ।
আপন মনের মাধুরী মিশিয়ে পরম মমতায় বোনা শাড়ির ডিজাইনে কিছুটা হেরফের করে অন্য মাত্রা যোগ করেন শিল্পী অন্য তাঁত শিল্পীদের পাশে বসে। সামান্য বুননের বদলে শাড়ি হয়ে ওঠে অনন্য। এমন শাড়ি একটা নিজের আলমারিতে না রাখা অবধি শান্তি পাওয়া যায় কি!
সল্টলেকের পিএনবি মোড়ের কাছে ইন্ডিয়ালুমস খোলা সকাল ১১ টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত। এ ছাড়া কোভিডের জন্যে নিয়মিত শো-রুম স্যনিটাইজ ও দূরত্ববিধি মেনে চলা তো আছেই। সুন্দর শাড়ি ও পোশাক পরুন কিন্তু অবশ্যই ভিড় এড়িয়ে পুজোর কেনাকাটা করুন।