এবারেও পুজোর আগে বৃদ্ধাশ্রমে মুখ্যমন্ত্রী
দরজায় পুজো কড়া নাড়লেও তাদের কিছুই করার নেই। ছেলে-মেয়ে, আত্মীয় স্বজন, পরিবার সবকিছু থেকেও তাঁদের কিছুই নেই। প্রিয়জনদের ছেড়ে তারা অনেক দূরে এসে পড়ে আছেন। জীবন সায়াহ্নে দাঁড়িয়ে যেন তাঁরা শেষ দিনটির অপেক্ষায় দিন গুনছেন। দুর্গা পুজো, কালী পুজো সহ যে কোনও উত্সবই তাঁদের কাছে আর পাঁচটা দিনের মতো শুধুই আর একটা দিন।
বৃদ্ধাশ্রমের সেই আবাসিকদের জীবনেও আলোর রোশনাই পৌঁছে দিতে এবারও অন্যন্যবারের মত তৃতীয়ার সন্ধ্যায় চেতলার এক বৃদ্ধাশ্রমে পৌছে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শহরেরই এক বৃদ্ধাশ্রম নবনীড়ে কিছুটা সময় কাটিয়ে এলেন মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং। এদিন তাঁর সঙ্গে ছিলেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও ইন্দ্রনীল সেন। বৃদ্ধাশ্রমের আবাসিকদের জন্য বেশকিছু উপহারও নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। ইন্দ্রনীল সেন সেখানে গান পরিবেশন করেন। অন্যদিকে স্বাস্থ্যের খোঁজ নিয়ে, গল্প করে বৃদ্ধাদের মন ছুঁয়ে গেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি নিজেও এখানে সময় কাটাতে পেরে খুব আনন্দিত বোধ করেন।
নিজের মন ভাল করা এই অভিজ্ঞতার কথা এর আগেও ফেসবুকে পোস্ট করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
চলতি বছরে করোনা আবহে সাবধানী প্রত্যকেই। বৃদ্ধাশ্রমের আবাসিকরা এদিন মুখ্যমন্ত্রীর সামনে শারীরিক দুরত্ব বজায় রেখেই দাঁড়িয়েছিলেন। ভবনের বারান্দা বা জানলা থেকে তারা মুখ্যমন্ত্রীর সাথে সৌহার্দ্য বজায় করেছেন। গান শুনে আনন্দ প্রকাশ করেছেন তালি বাজিয়ে। এদিন মুখ্যমন্ত্রী তাদের সাথে কথায় কথায় জানিয়েছেন, পুজো মাস্ক পড়ে, নিজেদের সুরক্ষিত রেখে চলতে হবে। নিজে ভাল থাকুন। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। টিভিতে দেখুন। আপনাদের এবার বাইরে না যাওয়াই ভালো। অষ্টমীর দিন আবাসিকদের জন্যে ভোগের আয়োজন করতে নির্দেশ দিয়েছেন ফিরহাদ হাকিমকে।