অবশেষে! গোষ্ঠী সংক্রমণের কথা মেনে নিলেন হর্ষ বর্ধন
দেশে করোনা সংক্রমণের আট মাস কেটে যাওয়ার পরে গোষ্ঠী সংক্রমণের কথা স্বীকার করে নিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। পশ্চিমবঙ্গ-সহ বিভিন্ন রাজ্য যখন গোষ্ঠী সংক্রমণের কথা বলতে শুরু করেছে, সেই সময়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন আজ একই সুরে কথা বললেন। তবে তিনি দাবি করেছেন, গোষ্ঠী সংক্রমণের বিষয়টি নির্দিষ্ট কিছু রাজ্য ও জেলাতেই সীমাবদ্ধ। প্রসঙ্গত, আজ রাতেই আন্তর্জাতিক সমীক্ষায় দেশে মোট করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা ৭৫ লক্ষ পেরিয়েছে।
সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট করে দিয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন এলাকায় করোনা সংক্রমণের তৃতীয় পর্যায় অর্থাৎ গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়েছে। আজ স্যোশাল মিডিয়ায় ‘সানডে সংবাদ’ অনুষ্ঠানে এ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গ-সহ বিভিন্ন রাজ্যে গোষ্ঠী সংক্রমণ হতে চলেছে, বিশেষ করে সেই সব এলাকায় যেখানে জনঘনত্ব বেশি। তবে গোটা দেশের পরিস্থিতি এমন নয়। কিছু রাজ্য এবং বিশেষ কিছু জেলাতেই গোষ্ঠী সংক্রমণের বিষয়টি সীমাবদ্ধ।’’
এর আগে করোনায় গোষ্ঠী সংক্রমণের কথা স্বীকার করতে চায়নি কেন্দ্র। পশ্চিমবঙ্গ, কেরল, দিল্লির মতো রাজ্যগুলি এ নিয়ে বলতে শুরু করেছিল। এর পরেই এ ব্যাপারে নিজের বক্তব্য জানালেন হর্ষ বর্ধন। গোষ্ঠী সংক্রমণ হল করোনা সংক্রমণের তৃতীয় পর্যায়, যেখানে ব্যাপক সংখ্যায় মানুষ আক্রান্ত হন এবং সংক্রমণ কোথা থেকে এল, তা নির্দিষ্ট করে বলা সম্ভব হয় না। ভারত সরকারের প্রিন্সিপ্যাল সায়েন্টিফিক অ্যাডভাইসারের নেতৃত্বাধীন কমিটি মনে করছে, পরের বছর ফেব্রুয়ারি মাসে দেশে উপসর্গ-সহ করোনা রোগীর সংখ্যা ১ লক্ষ ৬ হাজারে পৌঁছবে। তবে হর্ষ বর্ধন আজ জানিয়ে দেন, এখনও পর্যন্ত ভারতে করোনাভাইরাসের মিউটেশন লক্ষ্য করা যায়নি। তেমন হলে ভাইরাস আরও বেশি সংক্রামক হয়ে ওঠে।
উৎসবের মরসুমে করোনা সংক্রমণ নিয়ে সতর্কতা বজায় রাখা এবং রাজ্য সরকারগুলির ভূমিকা নিয়ে বলতে গিয়ে আজ কেরলে ওনাম উৎসবের প্রসঙ্গ টেনে আনেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী। পিনারাই বিজয়ন সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘‘ওনামের সময়ে কেরল সরকার করোনা মোকাবিলায় যে অবহেলা দেখিয়েছে, এখন তার ফল ভোগ করতে হচ্ছে। রোজ সেখানে প্রায় দ্বিগুণ সংখ্যায় মানুষ করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। উৎসবের সময়ে অন্য রাজ্যগুলিকে এ থেকে শিক্ষা নিতে হবে।’’ হর্ষ বর্ধন জানান, সংবাদপত্র থেকে করোনা ছড়ানোর কোনও বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। ফলে করোনার সময়ে সংবাদপত্র পড়া নিরাপদ।