ফেসবুক লাইভে বিপণনের পথে খাদি গ্রামীণ ও শিল্প পর্ষদ
বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে শাড়ি বিক্রির যেমন অনুষ্ঠান হয়, অনেকটা সেই কায়দায় বিপণনের পথে হাঁটছে খাদি গ্রামীণ ও শিল্প পর্ষদ। তবে তারা বিকিকিনি করছে টিভিতে নয়। ফেসবুক লাইভে।
শোরুম থেকে হচ্ছে ফেসবুক লাইভ। মসলিন শাড়ির কী দাম, কেমন তার ডিজাইন— সোশ্যাল মিডিয়ার সৌজন্যে উঠে আসছে সবটাই। তারপর হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে অর্ডার। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা জমা পড়লেই, শাড়ি-জামা পৌঁছে যাচ্ছে ক্রেতার বাড়িতে। আধুনিকতার যুগে বাজার ধরতে নয়া পথে হাঁটতে শুরু করেছে খাদি গ্রামীণ ও শিল্প পর্ষদ।
বৈদ্যুতিন চ্যানেলে প্রায়শই দেখা যায়, শাড়ি-জামার সম্ভার নিয়ে হাজির হয় বিভিন্ন বস্ত্র বিপণন সংস্থা। কোন শাড়ির কী দাম, তা জানানো হয়। তারপর নেওয়া হয় অর্ডার। একেবারে সেই পথেই হাঁটছে ছোট, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প দপ্তরের অধীন খাদি গ্রামীণ ও শিল্প পর্ষদ।
পর্ষদের ‘খাদি গ্রামীণ’ নামে একটি ফেসবুক পেজ রয়েছে। তাতে শুরু হয়েছিল লাইভ পর্ব। যা পর্ষদের ইতিহাসে আগে কখনও হয়নি। লাইভে অংশ নিতে দেখা গিয়েছে সঙ্গীতশিল্পী সুরজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে। যে সমস্ত স্টোরগুলি থেকে খাদির জিনিসপত্র বিক্রি হয়, সেখান থেকেই চলছে লাইভ। গরদ, বালুচরি, সিল্ক, সুতোর কাজের শাড়ি, মসলিন কাপড় সবই ফেসবুক লাইভে তুলে ধরা হচ্ছে। থাকছে পুরুষদের কুর্তা, পাঞ্জাবি। কোন জামাকাপড়ের কী দাম সেটাও জানিয়ে দিচ্ছেন বিক্রেতা। ক্রেতাদের যোগাযোগের জন্য দেওয়া হয়েছে মোবাইল নম্বর। এমনকী ওই ফেসবুক পেজে বিভিন্ন জামাকাপড়ের ছবি ও দাম উল্লেখ করেছে খাদি বোর্ড। ক্রেতাদের অর্ডার দিতে যাতে সমস্যা না হয়, তার জন্য ব্যাঙ্ক সংক্রান্ত তথ্য দেওয়া হয়েছে।
পর্ষদের আধিকারিকদের বক্তব্য, করোনার গ্রাস থেকে এখনও মুক্তি মেলেনি। উৎসব দোরগোড়ায়। আর উৎসবের মরশুমে খাদির জিনিস যাতে সাধারণ মানুষের ঘরে পৌঁছাতে পারে, তার জন্য সোশ্যাল মিডিয়াকে হাতিয়ার করা হয়েছে। খাদি গ্রামীণ ও শিল্প পর্ষদের সিইও মৃত্যুঞ্জয় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হচ্ছে। তাই খাদির জামাকাপড়কে বিপণনের জন্য ফেসবুক প্ল্যাটফর্মকে ব্যবহার। আর লাইভ অনুষ্ঠানে সাড়া মিলছে ব্যাপক।’