ছত্রধর মাহাতর স্ত্রীকে শিশু কমিশনের সদস্য করল মমতার সরকার
ছত্রধর মাহাতর স্ত্রীকে পশ্চিমবঙ্গ শিশু সুরক্ষা অধিকার কমিশনের সদস্য করা হল। গত ১২ অক্টোবর নারী, শিশু ও সমাজকল্যাণ দপ্তর এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। তাতে বলা হয়েছে, ১৩ অক্টোবর থেকে নিয়তি মাহাত পশ্চিমবঙ্গ শিশু সুরক্ষা অধিকার কমিশনের সদস্য হিসেবে কাজ করবেন। রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া ছত্রধরকে সম্প্রতি রাজ্য কমিটির সদস্য করেছে তৃণমূল। যা নিয়ে বিরোধীদের নিশানায় ছিল শাসকদল। বাঁশপাহাড়িতে রাজধানী এক্সপ্রেস পণবন্দি, মাওবাদী কার্যকলাপ সহ একাধিক ঘটনায় অভিযুক্ত ছত্রধর। এবার তাঁর স্ত্রীর সরকারি স্তরে অন্তর্ভূক্তি রাজনৈতিক বিতর্কে নয়া মাত্রা যোগ করল বলে মনে করা হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে, নবান্নের এক শীর্ষ আমলা বলেন, নিয়তি মাহাত শিশু সুরক্ষা নিয়ে কোনও দিন কাজ করেছেন, এমন তথ্য নেই। স্বভাবতই এই নিয়োগ পুরোপুরি রাজনৈতিক বলে সাফ জানান তিনি। তাঁর দাবি, ভাতা, টেলিফোন খরচ সহ আনুষাঙ্গিক মিলিয়ে মাসে প্রায় তিরিশ হাজার টাকা পাবেন নিয়তি। এছাড়াও রাজ্য সরকারের এই কমিটির সদস্যা হওয়ার সুবাদে একাধিক সুবিধা ও সামাজিক পরিচিতি বাড়বে ছত্রধরের স্ত্রীর।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ছত্রধরের স্ত্রীর বর্তমান বয়স ৪৩ বছর। আইন অনুযায়ী শিশু সুরক্ষা অধিকার কমিশনের কোনও সদস্য একটানা তিন বছর এই পদে থাকতে পারেন। সেক্ষেত্রে নিয়তি মাহাত ২০২৩ সালের অক্টোবর মাস পর্যন্ত এই সরকারি পদে থাকতে পারবেন। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী চেয়ারপার্সন এবং সর্বাধিক ছ’জন কমিশনে থাকতে পারবেন। নিয়তির অন্তর্ভূক্তির মাধ্যমে সেই কোটা পূরণ করল রাজ্য সরকার। উল্লেখ্য, কয়েকমাস আগে সিপিএমের প্রাক্তন এমপি বর্তমানে তৃণমূল সদস্য ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়কে শিশু কমিশনের সদস্য করা হয়। এ প্রসঙ্গে নারী ও শিশু কল্যাণ দপ্তরের কর্তাদের একাংশের বক্তব্য, কমিশন এখন রাজনৈতিক পুনর্বাসনের জায়গা হয়ে গিয়েছে। সম্প্রতি রাজ্যে একাধিক শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটলেও তা নিয়ে কমিশনের ভূমিকা চোখে পড়েনি। কিন্তু সাধারণ মানুষের করের টাকায় বছরে কোটি টাকা বরাদ্দ হচ্ছে কমিশন খাতে। যদিও এই সরকারি সংস্থার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে সংশ্লিষ্ট মহল