পুজোয় ক্লাবগুলিকে অনুদান ভাল সিদ্ধান্ত: অভিজিৎ ব্যানার্জি
পুজোয় রাজ্য সরকার ক্লাবগুলিকে যে অনুদান দিয়েছে, তা ভাল সিদ্ধান্ত বলে মনে করেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক ব্যানার্জি। পুজোর দিনগুলিতে যথেষ্ট সতর্কতা নিয়েই মানুষকে থাকতে হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলে সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘সরকার যেভাবে পুজো করতে বলেছে, খোলামেলা হবে, ফ্যান থাকবে, যাতে হাওয়া চলাচল করতে পারে। জীবন বাঁচানোর জন্য পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। সেগুলো করতে বাড়তি খরচ হবে, মানুষের জন্য যেগুলো করণীয়। অনেক পুজো কমিটির হাতে টাকা নেই। চাঁদাও উঠছে না। একদিক দিয়ে ভাল সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।’
করোনা–আবহে দুর্গা পুজো এবং মানুষের এ সময়ে কী ধরনের সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত তা নিয়ে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘যাঁরা ডায়াবেটিক তাঁরা সতর্ক থাকুন। অসুস্থ বোধ করলে বাড়িতেই থাকুন। মুখোশ পরে থাকা, বাড়িতেও মুখোশ পরতে পারেন। তবে এ সমস্ত সুখকর নয় আমরা জানি।’
তিনি বলেছেন, ‘দোকানে যাব না তা তো হয় না। সকাল সকাল যাব। সকাল ৮টার সময় যাওয়া যায়। দুপুরেও যাওয়া যায়। ভিড়ে না গেলেই হল। অনেকগুলো বিষয় নিয়ে সমাধানের পথ ভাবতে হবে।’ গণেশ চতুর্থীর পর মহারাষ্ট্রে সংক্রমণ বেড়েছে। দুর্গা পুজোর পর সংক্রমণ বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। নোবেলজয়ী বলেছেন, ‘আমরা অনেক দূর করোনাকে ঠেকিয়ে রেখেছি। কিন্তু লোকে যদি না মানে তা হলে কী করা যাবে জানি না। আমি ব্যক্তিগতভাবে বলতে পারি, আমি ভয়ে বাড়ি থাকতাম।’ যুব সমাজের বড় অংশ চাকরি, জীবিকা নিয়ে ভাবিত। এই পরিস্থিতিতে অভিজিৎ বিনায়ক ব্যানার্জির বক্তব্য, ‘রোজগার আস্তে আস্তে ফিরে আসবে। এত নেতিবাচক হওয়ার কারণ নেই। আমিও যুব সমাজের সঙ্গে সময় কাটাই, পড়াই। এখন অসুখ থাকা সত্ত্বেও রোজগারের পদ্ধতি পাল্টাচ্ছে। অনেক কিছুই খুলে দেওয়া হচ্ছে।’
করোনা প্রতিহত করার বিষয়ে নোবেলজয়ীর পরামর্শ, যেখানে হাওয়া চলাচল করে সেখানে থাকতে হবে, মাক্স পরতে হবে, বাড়ির ভেতর থাকতে হবে। মুখোশ না পরলে পুলিশ তাদের থামাতে পারে। মুখোশ বিতরণও করা যেতে পারে।’ ভ্যাকসিন দেওয়ার বিষয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যবস্থা আছে, সেটা মোটামুটি চলে। পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্যে ভালই চলে। তবে ভ্যাকসিন সবার কাছে পৌঁছতে গেলে টাকার দরকার। নিশ্চয়ই বিনা পয়সায় পাওয়া যাবে না।’ তিনি এদিনও আবার বলেন, সরকারের উচিত মানুষের হাতে টাকা পৌঁছে দেওয়া। তাতে ক্ষতি হবে না। মানুষ জিনিস কিনবে। একই কথা বহুবার বলেছি, কেউ শুনছে বলে তো মনে হয় না।