করোনার বিষয়ে দিলীপ ঘোষের কিছু বিতর্কিত মন্তব্য
গত ১২ই অক্টোবর হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন দিলীপ ঘোষ। দিনের সমস্ত কাজ বাতিল করে সেদিন ঘরেই ছিলেন তিনি। ৩ দিন কেটে যাওয়ার পর গত শুক্রবার প্রবল জ্বরে কাহিল হয়ে পড়েন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। করোনা পরীক্ষা আগেই করানো হয়েছিল। এদিন সেই রিপোর্ট পজিটিভ এলে তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে ভর্তি করা হয় সল্টলেক আমরি হাসপাতালে।
কিন্তু যে ভাইরাসে তিনি আক্রান্ত, সেই করোনা সম্পর্কে তাঁর দল এবং স্বয়ং দিলীপবাবু নানা সময়ে বহু বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন। বিভ্রান্ত করেছেন মানুষকে। লকডাউন যখন শুরু হল সেই সময় দিলিপবাবু বলেন, “মায়ের প্রসাদ খেলে করোনা ভাইরাসকে রুখে দেওয়া যাবে।”
এরপর মার্চ মাসে তিনি গোমূত্র পানের পক্ষে সওয়াল করলেন। গোমূত্র করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক, এই বিশ্বাসে উত্তর কলকাতার জোড়াসাঁকো এলাকায় গোমূত্র পানের একটি কর্মসূচিও আয়োজন করা হয়। সেখানে একজন অসুস্থও হয়ে পড়েন।
এপ্রিল মাসে এক সভায় দিলীপবাবু বলেন, “যারা আল্লার ভরসায় রয়েছেন, তাঁরাই আক্রান্ত হচ্ছেন।”
মে মাসে তিনি বলেন, “বিজেপি কর্মীদের সব জায়গায় বাধা দেওয়া হচ্ছে। আমরা কর্মীদের বলেছি, কোনও কোয়ারেন্টাইন মানব না। কোনও লকডাউন মানব না।”
হুগলির ধনেখালিতে সেপ্টেম্বর মাসে এক সভায় মেদিনীপুরের সাংসদ বলেন, ”করোনা চলে গিয়েছে। তা সত্ত্বেও দিদি লকডাউন জারি করছেন। বিজেপি যাতে মিটিং-মিছিল না করতে পারে, তাই লকডাউন জারি করা হচ্ছে। আমাদের কেউ আটকাতে পারবে না৷”
কিছুদিন আগেই বিজেপির নবান্ন অভিযানে আমরা দেখেছি করোনাবিধিকে তোয়াক্কা না করে বিজেপির পেশীর আস্ফালন। তার পরই একাধিক বিজেপি নেতা করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। এমনকি করোনা চলে গেছে বলেছিলেন যে দিলীপ ঘোষ, তিনিও ভাইরাসের ছোঁয়ায় হাসপাতালে।
প্রশ্ন উঠছে, দিলীপবাবু কি গোমূত্র খেয়েছেন? খেয়ে থাকলে তা প্রতিষেধকের কাজ করল না কেন? কেন এই নেতারা অবৈজ্ঞানিক মন্তব্য করে মানুষকে বিভ্রান্ত করেন।