কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গে ষষ্ঠী থেকে অষ্টমীতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা
বঙ্গোপসাগরে যে নিম্নচাপটি তৈরি হতে চলেছে তার পরোক্ষ প্রভাবে পুজোর কয়েকটি দিন কিছুটা বৃষ্টি হবে রাজ্যে। এমনটাই এখনও মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা। মধ্য বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ওই নিম্নচাপটি থেকে একটি নিম্নচাপ অক্ষরেখা বের হয়ে বাংলাদেশ পর্যন্ত বিস্তৃত থাকবে। এটি রাজ্যের উপকূলবর্তী এলাকার উপর দিয়ে যাবে বলে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের অধিকর্তা ডঃ জি সি দাস সোমবার জানিয়েছেন। অক্ষরেখার প্রভাবে বজ্রগর্ভ মেঘ তৈরি হয়ে বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে পুজোর সময়। সোমবারও দক্ষিণবঙ্গের আকাশ কিছুটা মেঘাচ্ছন্ন ছিল। কোথাও কোথাও বজ্রমেঘ থেকে বৃষ্টিও হয়েছে।
আলিপুর আবহাওয়া অফিস এদিনও বিবৃতিতে জানিয়েছে, আজ মঙ্গলবার চতুর্থীর দিনও দক্ষিণবঙ্গের কোথাও কোথাও হাল্কা থেকে মাঝারি মাত্রায় বৃষ্টি হতে পারে। ২১ অক্টোবর অর্থাৎ পঞ্চমীর দিন থেকে ২৬ অক্টোবর পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ ও এলাকা কিছুটা বাড়তে পারে। তবে তুলনামূলকভাবে বেশি বৃষ্টি হতে পারে ২২-২৪ অক্টোবর অর্থাৎ ষষ্ঠী থেকে অষ্টমী পর্যন্ত। কলকাতার ক্ষেত্রেও একই পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। উত্তরবঙ্গেও পুজোর দিনগুলিতে হাল্কা থেকে মাঝারি মাত্রায় বৃষ্টি হতে পারে। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তর আগে জানিয়েছিল, সোমবার নাগাদ মধ্য বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপটি তৈরি হবে। কিন্তু এদিন সেখানে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। আজ মঙ্গলবার এটি নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে বলে জানানো হয়েছে। নিম্নচাপটির অভিমুখ অন্ধ্র-ওড়িশা উপকূলের দিকে থাকবে। ফলে ওড়িশা, উপকূলবর্তী অন্ধ্র এবং তামিলনাড়ুও তুলনামূলকভাবে বেশি মাত্রায় বৃষ্টি পাবে। আগের নিম্নচাপটির মতো এটি অতটা শক্তিশালী হবে না বলে আবহাওয়াবিদরা আপাতত মনে করছেন। আগের নিম্নচাপটি অন্ধ্রের কাকিনাড়ার কাছে উপকূল দিয়ে স্থলভূমিতে ঢোকার পর ব্যাপক বৃষ্টিতে পরিণত হয়ে ক্ষয়ক্ষতি হয় দক্ষিণের কয়েকটি রাজ্যে। তেলেঙ্গানায় সব থেকে বেশি এর প্রভাব পড়েছিল। স্থলভূমিতে নিম্নচাপটির স্থায়িত্বকালও বেশি ছিল। কিন্তু ওই নিম্নচাপটির কোনও প্রভাব পশ্চিমবঙ্গে পড়েনি।