কৃষি আইনের বিরোধিতা! বরখাস্ত করা হতে পারে পাঞ্জাব সরকারকে
কেন্দ্রের কৃষি আইনের বিরোধিতা করায় পাঞ্জাব সরকারকে বরখাস্ত করা হতে পারে। মঙ্গলবার এই আশঙ্কা প্রকাশ করেন পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং। এদিন কেন্দ্রের কৃষি আইনের বিরোধিতায় সর্বসম্মতিক্রমে পাঞ্জাব বিধানসভায় চারটি বিল পাশ হয়ে গেল। এছাড়াও কৃষি আইনের বিরোধিতায় পাঞ্জাব বিধানসভায় একটি প্রস্তাবও পাশ হয়েছে। মঙ্গলবার বিধানসভায় বিলগুলি পেশ করে অমরিন্দর বলেন, ‘সরকার ভেঙে দেওয়ার ভয় আমি করি না। তবে আমি কৃষকদের ধ্বংসের পথে ঠেলে দিতে পারি না। এই কারণে পদত্যাগ করতে আমি পিছপা নই।’
কৃষি আইনের বিরোধিতায় সোমবার থেকে পাঞ্জাব বিধানসভায় বিশেষ অধিবেশন শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনে চারটি বিল পেশ করেন বিধানসভার দলনেতা অমরিন্দর। বিলগুলির নামকরণ থেকেই স্পষ্ট কেন্দ্রের তিনটি আইনকে রাজ্যে বলবৎ না করার রাস্তা খোলা রাখতেই এগুলি আনা হয়েছে। পাঁচ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে বিতর্কের শেষে বিলগুলি সর্বসম্মতিক্রমে পাশ হয়। দু’জন বিজেপি বিধায়ক বিতর্কে অংশ নেননি। তবে শিরোমণি অকালি দল, আম আদমি পার্টি এবং লোক ইনসাফ পার্টি এই বিলগুলি সমর্থন করে।
লোকসভায় কৃষি বিল পেশ করার পর থেকেই সরগরম পাঞ্জাব। বিলের বিরোধিতায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা ছাড়েন শিরোমণি অকালি দলের নেত্রী হরসিমরত কাউর। পরে রাষ্ট্রপতি স্বাক্ষর করার পরে বিলটি আইনে পরিণত হয়েছে। এখন কৃষি আইনের বিরোধিতার ভরকেন্দ্র হয়ে দাঁড়িয়েছে পাঞ্জাব। সোমবার রাত থেকে বিধানসভার বাইরে ধর্না দিতে শুরু করেছে বিরোধী আম আদমি পার্টির বিধায়করা। তাঁদের অভিযোগ, প্রস্তাবিত বিলের খসড়া তাঁদের দেওয়া হয়নি। কৃষি আইনের বিরোধিতা নিয়ে পাঞ্জাবে বিরোধী অকালি দলের সঙ্গে কংগ্রেসের যেন একটি অঘোষিত টক্কর শুরু হয়ে গিয়েছে। এদিন অকালি দলের পক্ষে বলা হয়, সোমবার এই বিল পেশ করা উচিত ছিল।